• একসময় বিলিয়ন ডলারে ব্যবসা করা Byju's, আজ 'শূন্যে' এসে দাঁড়িয়েছে!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ জুন ২০২৪
  • এক সময় টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে বাইজুর লোগো ছিল। শাহরুখ খান বাইজুসের বিজ্ঞাপন করতেন, কিন্তু আজ কোম্পানির মান একেবারেই নিঃশেষ। অনেকেই জেনে হতবাক হতে পারেন যে এডুটেক ফার্ম Byju's, যার মূল্য একসময় ২২ বিলিয়ন ডলার ছিল, তার মূল্য এখন শূন্য হয়ে গিয়েছে। আর্থিক সংস্থা এইচএসবিসি-এর একটি গবেষণা নোট অনুসারে এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধুমাত্র একটি ভুলের জন্যই কোম্পানিটিকে এত মাশুল গুণতে হচ্ছে।

    অনলাইন কোর্সের প্রস্তুতি এবং অনলাইনে টিউশন পড়ানোর দারুণ প্ল্যানিং নিয়ে, রবীন্দ্রন বাইজু অ্যাপ চালু করেছিলেন। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া এই ব্যবসা, করোনা এবং লকডাউনের সময়, ফুলেফেঁপে উঠেছিল। সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং কোচিং যখন বন্ধ ছিল, তখনই কোম্পানিটি ২২ বিলিয়ন ডলারের মূল্যায়ন অর্জন করেছিল। আকাশ ইনস্টিটিউট, আইরোবটজুনিয়র, হোয়াইট জুনিয়র এবং টপার- এর মতো অনেক কোম্পানিকে অধিগ্রহণ করে নিয়েছিল এই কোম্পানি। সবটাই যদিও ঋণ নিয়ে। মোট ১.২ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছিল কোম্পানি। ঋণের বোঝা বাড়াতে বাড়াতে, দেশের বিভিন্ন স্থানে কোচিং সেন্টার, অফিস খুলতে শুরু করেছিল। তখন কোম্পানির ব্যবসা চলছিল রমরমিয়ে।


    এরপরেই বাঁধে আসল গোলযোগ। করোনা এবং লকডাউন শেষ হতেই, স্কুল-কলেজ খোলার সঙ্গে সঙ্গে বাইজুর ব্যবসা তলানিতে চলে যেতে থাকে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে থাকে, কোম্পানির সমস্যা বাড়তে থাকে। এইভাবেই ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি।

    এইচএসবিসি নোটে বলেছে যে আইনি মামলা এবং তহবিলের অভাবের কারণে, আমরা বাইজুতে শেয়ারের মূল্য শূন্যে নামিয়ে এনেছি। এতে আরও বলা হয়েছে, এর আগে কোম্পানির সর্বশেষ মূল্যায়ন অনুযায়ী আমরা ৮০ শতাংশ ছাড়ে ১০ শতাংশ শেয়ার রেখেছিলাম। এই এডটেক কোম্পানি বর্তমানে তার কর্মীদের বেতন দিতেও হিমশিম খাচ্ছে। এবং এর কারণে কোম্পানিটি অনেক আইনি মামলারও সম্মুখীন হচ্ছে। গত বছরের শেষের দিকে, প্রসাস এক্সিকিউটিভরা বলেছিলেন যে বাইজুস অনেক আইনি জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা প্রতিদিন কোম্পানির সঙ্গে কথা বলছি।


    বাইজু ২০২২ সালের প্রথম দিকে তার আইপিও চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু দুর্বল আর্থিক অবস্থার কারণে কোম্পানিটিকে তা স্থগিত করতে হয়েছিল। জানুয়ারির শুরুতে, ইউএস ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম ব্ল্যাকরক বাইজু-এর মূল্যায়ন ২০২২ সালের শুরুতে ২২ বিলিয়ন ডলার থেকে কমিয়ে ১ বিলিয়ন ডলার করে দিয়েছিল। বাইজুসে ব্ল্যাকরকের শেয়ার এখন এক শতাংশেরও কম। এই সপ্তাহের শুরুতে, কোম্পানির ঋণদাতাদের একটি গ্রুপ দেউলিয়া হওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাইজু-এর সহযোগী সংস্থার বিরুদ্ধে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। বলা হচ্ছে, এসব কোম্পানিও তাদের ঋণ পরিশোধ করছে না।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)