• মোদি, শাহের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে সেবিকে চিঠি তৃণমূলের
    আজকাল | ১২ জুন ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য, দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়ে দ্বিতীয়বার সেবিকে চিঠি দিল তৃণমূল। আজ দলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে সেবিকে চিঠি দিয়ে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে লগ্নির জন্য জনগণকে উৎসাহিত করার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, লোকসভা ভোটের প্রচার পর্ব চলাকালীন টেলিভিশন চ্যানেলে শেয়ার বাজারে লগ্নি করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন মোদি-শাহ এবং তার ফলে লগ্নিকারীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেবিকে দেওয়া চিঠিতে সাকেত গোখলে লিখেছেন, "গত মে মাসে লোকসভা নির্বাচনের সময়, উল্লেখিত দুই ব্যক্তি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেই সাক্ষাৎকারে দুই ব্যক্তি সাধারণ মানুষকে ৪ জুনের আগে শেয়ার কিনতে বলেছিলেন। সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, ৪ জুনের পরের এক সপ্তাহে কী হবে দেখতে পাবেন। ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার দিন মানুষকে শেয়ার কেনার কথা বলতে বলতে লগ্নিকারীরা ক্লান্ত হয়ে পড়বেন । অমিত শাহ বলেছিলেন, ৪ জুনের আগে শেয়ার কিনে ফেলুন।" তাঁর দাবি, ৪ জুন ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর শেয়ার বাজরে ব্যাপক ধ্বস নামে এবং বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, সেবির নিয়ম অনুযায়ী, একমাত্র নথিভুক্ত করা উপদেষ্টারাই লগ্নির ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষমতাবলে দেশের মানুষকে উপদেশ দিয়েছেন। সাকেতের বক্তব্য, "স্বাভাবিকভাবে এত ক্ষমতাসম্পন্ন এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আহ্বানে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়েছিল।"তৃণমূল সাংসদ দাবি জানিয়েছেন, "যোগ্যতার শংসাপত্র না থাকার পরেও, লাইভ টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে এই ধরণের পরামর্শ দেওয়া এবং তার ফলে সেবির নিয়ম লঙ্ঘন করা নিয়ে এই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে।" তাঁর আরও দাবি, "৩ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ অথবা তাঁদের ঘনিষ্ঠ কোনও সংস্থা লাভবান হয়েছে কিনা তার তদন্ত করাও প্রয়োজন।" পাশাপাশি তিনি বলেছেন, "কারচুপির এক্সিট পোল প্রকাশ হওয়ার পর ৩ এবং ৪ জুন শেয়ার বাজারে ব্যাপক উঠানামা হয়েছে এবং সেখানে খারাপ কিছু হয়েছে। মোদি এবং শাহের বিবৃতির জন্যই বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রকৃত সত্য প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে।"প্রসঙ্গত, এর আগে ৫ জুন সেবিকে চিঠি দিয়েছিলেন সাকেত গোখলে। এক্সিট পোলকে ব্যবহার করে শেয়ার বাজারকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানালেন সাকেত।
  • Link to this news (আজকাল)