মিল্টন সেন, হুগলি: চাপদানি পুরসভার উদ্যোগে চন্দননগর কমিশনারেটের সহযোগিতায় চালু হল প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি কোচিং সেন্টার "স্টেয়ার টু সাকসেস।" মঙ্গলবার চাপদানি পুরভবন সংলগ্ন ভবনে কোচিং সেন্টারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগী। উপস্থিত ছিলেন, ডিসি হেডকোয়ার্টার ঈশানি পাল, ডিসি চন্দননগর অলকানন্দা ভাওয়াল, চাপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুইন, পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ মিশ্র প্রমুখ। এই সেন্টারে আগামী দিনে ডব্লু বি সি এস, রেল, পি এস সি, পুলিশ, ব্যাংক ইত্যাদি সরকারি সংস্থায় চাকরির কোচিং দেবেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। শুধু কোচিং নয়, সঙ্গে পড়ুয়ারা পাবে বই সহ শিক্ষা সামগ্রী। চেয়ারম্যান সুরেশ মিশ্র জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের জন্য একটি গ্রন্থাগার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে পুলিশের তরফে কোচিং সংক্রান্ত যাবতীয় বই দেওয়া হয়েছে। এই কোচিং হবে সম্পূর্ণই বিনামূল্যে। বুধবার থেকে পড়ুয়াদের ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। পরবর্তী কয়েক দিনের মধ্যেই ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে কোচিং চালু করে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে বস্তি অধ্যুষিত এই এলাকার পরবর্তী প্রজন্ম এগিয়ে যাবে। বক্তব্যের শুরুতেই এদিন পুলিশ কমিশনার শান্তিপূর্ণ রামনবমী এবং লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গ তুলে বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানান। বলেন, এত বড় দুটো পর্যায় অতিক্রম করা হলো, একটা ছোট ঘটনাও ঘটেনি। যার কৃতিত্ব সম্পূর্ণই নাগরিকদের। পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে পুলিশ কমিশনার বলেন, লক্ষ বড় করতে হবে। আই এস, আই পি এস, ডব্লু ডি সি এসের স্বপ্ন দেখতে হবে। অধ্যয়ন করলে সেটা পূরণ হবে। গরিব বলে পড়াশোনা হবে না, উচ্চশিক্ষা হবে না এসব ধারণা ভুল। সরকারি চাকরির ট্রেনিং কেন? একমাত্র সরকারি চাকরির মাধ্যমে মানুষের উপকার করার অনেক সুযোগ থাকে। তাছাড়া সরকারি চাকরি মানুষকে একটা উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। বেতনও যথেষ্টই ভাল। পড়াশোনা করে ভাল মানুষ হতে হবে। সব ধরনের বই দেওয়া হয়েছে। পড়াশোনা করতে হবে। কোচিং করাবেন আইপিএস, ডব্লু বি সি এস, ইউ পি এস সি পাশ করা পুলিশ কর্মীরা। গরমে ক্লাস করতে অসুবিধে হবে তাই একটি এসি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন পুলিশ কমিশনার। ছবি পার্থ রাহা।