• জামাই ষষ্ঠীতে ভরসা মায়ানমারের ইলিশই! ব্রহ্মদেশের রুপোলি শস্যেই ছেয়েছে বাজার
    ২৪ ঘন্টা | ১২ জুন ২০২৪
  • নকীব উদ্দিন গাজী: পঞ্জিকামতে, এবছর জামাইষষ্ঠী পড়েছে ১২ জুন, আগামীকাল। এদিকে ১৪ জুন পর্যন্ত নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তাই এখনও পর্যন্ত কোনও ট্রলার ইলিশের সন্ধানে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিতে পারেনি। সেই কারণে, এ বছর জামাইষষ্ঠীতে পাওয়া যাবে না বাংলার টাটকা ইলিশ। স্টোরেজের ইলিশের উপরেই নির্ভর করতে হবে আমবাঙালিকে।

    সেই মতো মাছের বাজারগুলিতেও পলিথিনে মোড়া স্টোরেজের ইলিশ চলেও এসেছে। তবে রসনাপ্রিয় বাঙালির জন্যে বাজারে ইলিশ মাছ এলেও তার দাম শুনে এখন মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের। খুচরো বাজারে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৮০০ টাকা, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ইলিশের দাম ১০০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের দাম ১২০০ টাকা! এবং ৯০০ থেকে ১ কিলো ওজনের ইলিশের দাম ১৫০০ টাকা!এ বিষয়ে কাকদ্বীপের এক মৎস্যজীবী বলেন, গত দুই মাস অর্থাৎ, ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি। তাই এই দুই মাস বাঙালিদের পুকুরের মাছের উপরেই ভরসা করতে হয়। এ বছরও জামাইষষ্ঠীতে টাটকা ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে না। তাই ভরসা করতে হবে স্টোরেজের ইলিশ মাছের উপরেই।

    ফলে, অনেকেই বলছেন, অন্যান্য বারের মতো দুধের স্বাদ ঘোলেই মেটাতে হবে জামাইদের, প্যাকেটবন্দি ইলিশ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে শ্বশুর-শাশুড়িদের।এবারের জামাইষষ্ঠী অনেক বিষয়েই একটু বিবর্ণ হচ্ছে। যেমন, এ বছর মালদার আম জামাইদের পাতে হতে পারে অমিল। মালদায় আমের ফলন হয়েছে কম। গাছে আম নেই। শ্বশুরদের মুখে তাই নেই হাসি। তবে চাষিদের মুখে অবশ্য রয়েছে চওড়া হাসি। খোশমেজাজেই আমবাগানে ঘুরছেন আমের জেলার আমচাষিরা। মালদায় প্রায় ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে আম গাছ রয়েছে। প্রায় ৩ লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়। কিন্তু এই বছর আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্য আম নেই গাছে। মালদার আমের বিশ্বজোড়া নাম। কিন্তু বাগানেই এবার আমের পাইকারি দর কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বাজারে একটু ঢুঁ মারলেই পুড়ছে হাত। সর্বত্রই চড়া দাম আমের। এবার ফলন খুব কম হয়েছে বলে আমের জেলার আমবাজারেই আম বিকোচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে! লক্ষণভোগ ১০০, ল্যাংড়া-হিমসাগর ১২০ টাকা কেজি। তাতে মুখে হাসি ফুটেছে আমচাষিদের। কিন্তু জামাই ষষ্ঠীতে জামাইদের পাতে অমিল হতে পারে মালদার আম।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)