• শহরে বর্জ্য-কর চালু হবেই, বৈঠকের পরে দাবি পুরসভার
    আনন্দবাজার | ১২ জুন ২০২৪
  • শহরে বর্জ্য-কর চালু করা হবেই, জানিয়ে দিলেন আসানসোল পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তবে কী ভাবে এই কর সংগ্রহ করা হবে, সে নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে নির্দিষ্ট প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পুরসভা এলাকার সমস্ত বণিক সংগঠনগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেন শহরের মেয়র ও আধিকারিকেরা। প্রস্তাব চাওয়ায় খুশি বণিক সংগঠনগুলির সদস্যেরা।

    রাজ্যের বেশ কিছু পুরসভায় ইতিমধ্যে বর্জ্য-কর চালু করা হয়েছে। আসানসোল পুর কর্তৃপক্ষও ১০৬টি ওয়ার্ডে বর্জ্য কর চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাস দুই আগে এ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তার পরেই বেঁকে বসেন শহরের ব্যবসায়ীরা। এই কর চালু করা উচিত নয় বলে দাবি করেন তাঁরা। এ নিয়ে বণিক সংগঠনগুলি সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিবাদে নেমেছে। ‘ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়’-এর সাধারণ সম্পাদক শচীন রায় বলেন, ‘‘এমনিতেই করের ধাক্কায় শহরের ব্যবসায়ীদের নাভিশ্বাস উঠেছে। এর পরে অতিরিক্ত বর্জ্য কর চালু করা হলে শহরে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’’ ‘আসানসোল চেম্বার অব কমার্স’-এর সম্পাদক শম্ভুনাথ ঝায়ের বক্তব্য, ‘‘বর্জ্য কর চালুর তীব্র বিরোধিতা করা হবে। দরকারে এই কর প্রত্যাহারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হবে।’’

    বণিক সংগঠনগুলির এমন বিরোধের মুখে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন পুর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার পুরসভায় মেয়রের চেম্বারে এই বৈঠক হয়। পুরসভার চার এলাকার প্রতিটি বণিক সংগঠনের পদাধিকারিদের বৈঠকে ডাকা হয়। বৈঠক শেষে আসানসোল চেম্বার অব কমার্সের মুখ্য উপদেষ্টা নরেশ আগরওয়াল বলেন, ‘‘পুর কর্তৃপক্ষ বর্জ্য-কর চালুর বিষয়ে আমাদের কাছে প্রস্তাব চেয়েছেন। আমরা খুশি। নিজেদের বৈঠক ডেকে প্রস্তাব ঠিক করে পুর কর্তৃপক্ষকে জানাব।’’

    মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যের অনেক পুরসভায় বর্জ্য-কর চালু হয়েছে। এখানেও চালু হবে। কী ভাবে চালু করা হবে, তা ঠিক করতে ব্যবসায়ীদের কাছে নির্দিষ্ট প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে।’’ বিধান জানান, পুরসভার ১০৬টি ওয়ার্ডে বর্জ্যকর চালু হবেই। কারণ, শহরে যেখানে সেখানে আবর্জনার স্তূপ রাখা যাবে না। বর্জ্য প্রতিদিনি তুলে প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। এই কাজ করার জন্য বাড়তি এক হাজার অস্থায়ী সাফাইকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুরসভার এই কাজে প্রত্যেককে সহযোগিতা করতে হবে বলে জানান মেয়র।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)