কেশপুরে লক্ষ্য পূরণ, তবে ‘লিড’ দিল না দেবের গ্রাম মহিষদা, বিজেপি এ বারেও তৃণমূলের চেয়ে এগিয়ে
আনন্দবাজার | ১২ জুন ২০২৪
গোটা বাংলা যাঁকে চেনে দেব নামে, কেশপুরের মহিষদায় তিনি রাজু। মহিষদাতেই তাঁর আদি বাড়ি। এ বার কেশপুর বিধানসভা থেকে এক লক্ষ ভোটের ‘লিড’ চেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। তবে সেই বিধানসভার মহিষদায়, দেবের গ্রামের বুথেই এগিয়ে বিজেপি।
দীপক অধিকারী ওরফে দেব এই নিয়ে তিন বার ঘাটাল কেন্দ্র থেকে সাংসদ হলেন। কোনও বারেই নিজের গ্রামের বুথে ‘লিড’ পাননি তিনি। কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী শিউলি সাহা বলছেন, “ঘরের ছেলেকেও মান্যতা দেয়নি ওরা! উন্নয়ন কিছু কম হয়নি ওখানে।” তাঁর কথায়, “যে সরকার মানুষের কাজ করবে, মানুষেরও উচিত সেই সরকারের পাশে থাকা।”
শিউলির দাবি, মহিষদায় ‘বামের ভোট রামে’ গিয়েছে। তাই সেখানে তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছে। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ অবশ্য বলছেন, “মানুষ বিজেপিকে চেয়েছে। তাই মহিষদার বুথে আমরা এগিয়ে আছি। সুষ্ঠু ভোট হলে কেশপুরের সব বুথেই তৃণমূল পিছিয়ে থাকত।” ঘাটালের বাম প্রার্থী তপন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের লড়াই তৃণমূল এবং বিজেপি— দু’দলের বিরুদ্ধেই।”
২০১৪ এবং ২০১৯, এই দু’বারই কেশপুরে তাঁর ভোটের প্রচার শুরুর আগে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন দেব। এ বারে অবশ্য তিনি এখানে এসেছিলেন প্রচারের শেষ পর্বে। বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও মহিষদায় প্রচারে গিয়েছিলেন। হিরণকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “অভিনেতা-সাংসদ দশ বছরে কী করেছেন? উনি ওঁর নিজের গ্রামের জন্য কোনও স্কুল বানিয়েছেন?”
ভোটের দিন কেশপুরে বার বার বাধার মুখে পড়েছিলেন হিরণ। বিজেপি এখানে ভোট লুটের অভিযোগ তুলেছিল। বিজেপি
সূত্রের খবর, এই বিধানসভায় ২৮২টি বুথের মধ্যে ৩০টিরও বেশি বুথে বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা এক থেকে ন’টি। একটি বুথে তো বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা শূন্য! অভিষেকের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে কেশপুর থেকে এক লক্ষ তিন হাজার ভোটের ‘লিড’ পেয়েছিলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী।