জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঙ্গলবার জম্মুর কাঠুয়ায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে আহত হয়েছিলেন এক সিআরপিএপ জওয়ান। বুধবার শহিদ হলেন সেই জওয়ান। কাঠুয়ার সেহাল গ্রাম আহত হয়েছিলেন সিআরপিএফ কনস্টেবল কবীর দাস। দ্রুত তাক পাঠানো হয় হীরনগরের একটি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
কাঠুয়ার সীমান্তবর্তী ওই গ্রামে গতকাল সন্ধেয় গুলি লড়াইয়ে মৃত্যু হয় এক সন্দেহজনক পাকিস্তানি জঙ্গির। কাঠুয়ার হামলা নিয়ে জম্মু জোনের এডিজি আনন্দ জৈন বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে ২ জঙ্গি সাইদা সুখাল গ্রামে প্রবেশ করে। তারা গ্রামের একটি বাড়িতে জল চায়। বাড়ির লোকজন ভয় পেয়ে যায়। পরে তারা খবর দেয় পুলিসে। সেই খবর পেয়েই নিরাপত্তা বাহিনী ওই গ্রাম যায়। পুলিস গ্রামে ঢুকতেই এক জঙ্গি নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে একটি গ্রেনেড ছোড়ে। তখনই গুলির লড়াই শুরু হয়ে যায়। তাতেই মৃত্যু হয় এক জঙ্গির। তার কাছ থেকে একটি ব্যাগ ও একটি একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। অন্য আর এক জন জঙ্গির খোঁজ চলছে।এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায় সেনা বাহিনীর একটি পোস্টে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় এখনওপর্যন্ত ৬ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন জওয়ান এবং ১ জন স্পেশাল পুলিস অফিসার। আহতদের স্থানীয় হাসপাাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে কাশ্মীর টাইগার গ্রুপ। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।ওই হামলা নিয়ে এডিজি আনন্দ জৈন বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ সবসময় চায় আমাদের দেশের শান্তি নষ্ট হোক। নতুন করে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে হীরানগরে হামলা চালানো হয়েছে। এখনওপর্যন্ত এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।উল্লেখ্য, রেইসি ও কাঠুয়ার পর গত ৩ দিন এনিয়ে তৃতীয়বার জঙ্গি হামলা হল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, কাঠুয়ার হীরানগর সেক্টরে সাইদা সুখাল গ্রামের বাড়িতে এক জঙ্গি এসে গুলি চালিয়ে দেয়। গত ৯ জুন একটি তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসে গুলি চালিয়ে দেয় জঙ্গিরা। এতে বাসটি পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে নিহত হয়েছেন ১০ জন।