একটা দিন। একটা দুর্ঘটনা। আর ফোনের বন্যা। রাতারাতি বদলে দিয়েছে ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়ের জীবন!
সোমবার সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’-এর শুট শুরু। প্রথম শটেই বিপত্তি। কাচ ভেঙে বেরিয়ে আসার দৃশ্যে ছবির ১২ আইনজীবীর অন্যতম আইনজীবী ফাল্গুনীর গায়ে কাচ ভেঙে পড়ে। সারা শরীর কেটে রক্তারক্তি। ডান হাঁটুর নীচে সেলাইও পড়েছে। আনন্দবাজার অনলাইন মারফত সেই খবর ছড়াতেই ফোনের বানভাসি। এখন কেমন আছেন তিনি? জানতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে খবর জানান নিজেই। রসিকতা করেন, ‘‘পরিবার আর ছবির পরিচালক তো আমায় তোলা তোলা করে রেখেছে! কেমন যেন তারকা তারকা লাগছে নিজেকে!’’
টলিপাড়াও যে তেমনই বলছে, রাতারাতি ছেলে আবীর চট্টোপাধ্যায়কে ছাপিয়ে বাবা ‘হিরো’! বক্তব্য জানাতেই দরাজ হাসি। বললেন, ‘‘হ্যাঁ, প্রচুর লোকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন, কেমন আছি। অনেক শুভেচ্ছা পেয়েছি। ছেলের জনপ্রিয়তা ছাপিয়ে যাওয়ার সাধ্য আমার নেই।’’ তবে ছেলে সুযোগ পেয়ে বাবাকে রীতিমতো শাসনে রেখেছেন, জানাতে ভোলেননি ফাল্গুনী। সেটে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য বাবার সঙ্গে এক জন অল্পবয়সি সহকারী পাঠিয়ে দিয়েছেন। ফাল্গুনীকে নাকি বেশি কথাও বলতে দিচ্ছেন না!
প্রবীণ অভিনেতা গত কালই জানিয়েছিলেন, তিনি শুটিং বাদ দেবেন না। এতে পরিচালক-প্রযোজকের যেমন ক্ষতি, তেমনই তাঁরও। অনেক দিন পরে খুব ভাল চরিত্র তাঁকে সৃজিত দিয়েছেন। মঙ্গলবারের শুটিং কেমন হল? ফাল্গুনী তখন সদ্যই বাড়ি ফিরেছেন। বললেন, ‘‘এ দিন বেশির ভাগ দৃশ্য বসে ছিল। ১২ আইনজীবীর নিজেদের মধ্যে কথোপকথন। ফলে, খুব সমস্যা হয়নি। তবে ক্লান্তি ছিল। আগের দিনে অনেক রক্তপাতের ফল।’’ সাত দিন পর সেলাই কাটাতে যেতে হবে অভিনেতাকে। তার আগে ক্ষতস্থানে নিয়মিত ড্রেসিং চলবে। চিকিৎসকের এমনই নির্দেশ, জানিয়েছেন অভিনেতা।