• চলে গেলেন মোহনবাগানকে প্রথম জাতীয় লিগ দেওয়া কোচ চাটুনি...
    আজকাল | ১২ জুন ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রয়াত মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ টিকে চাটুনি। ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। বুধবার সকাল ৭.৪৫ নাগাদ কোচির এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মোহনবাগানের প্রথম জাতীয় লিগ জয় তাঁর কোচিংয়ে। ১৯৯৭-৯৮ ফুটবল মরশুমে সালগাওকার থেকে এসেই মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করেন চাটুনি।‌ অমল দত্তের ডায়মন্ড সিস্টেমের তখন রমরমা। ১৯৯৭ সালের ফেডারেশন কাপ। সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে বিদায় নেয় সবুজ মেরুন। ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় চাটুনির সালগাওকর। বাগান কর্তাদের নজরে পড়ে যান কেরলের কোচ। অমল দত্তের জায়গায় জাতীয় লিগে সবুজ মেরুন কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। দায়িত্ব নিয়েই অল্প দিনের কোচিংয়ে জাতীয় লিগ জেতান মোহনবাগানকে। তবে কলকাতায় চাটুনির কোচিং জীবন খুব বেশি দিনের ছিল না। পরবর্তীকালে আর এখানকার কোনও দলকে কোচিং করাতে দেখা যায়নি। কেরলের চালাকুডির মানুষ ছিলেন চাটুনি। কোচিংয়ে আসার আগে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে চুটিয়ে ফুটবল খেলেন। ভাস্কো, মুম্বইয়ের অরকে মিলস, সেকুন্দরাবাদের হয়ে খেলেন। কেরল এবং গোয়ার হয়ে সন্তোষ ট্রফি খেলেন। দেশের জার্সিতেও খেলেছেন। ১৯৭৩ সালে মারডেকাতে খেলেন ভারতের জার্সিতে। আইএম বিজয়নের প্রথম কোচ ছিলেন। ব্রুনো কুটিনহোরও প্রশিক্ষক ছিলেন। কেরল পুলিশে কোচিংয়ের হাতেখড়ি। এরপর এফসি কোচি, ডেম্পো, সালগাওকার, চার্চিল ব্রাদার্স, মোহনবাগান, ভিভা কেরলে কোচিং করান। কলকাতায় খুব বেশি আসা হত না তাঁর। তবে এলেই মোহনবাগান ক্লাবে যেতেন। এখানকার কোনও সাংবাদিক ফোন করলেই ভীষণ খুশি হতেন। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কলকাতার ফুটবলের খবরাখবর নিতেন। তাঁর প্রয়াণে ভারতীয় ফুটবল শোকের ছায়া। 
  • Link to this news (আজকাল)