• অবৈধ নিয়োগ নিয়ে আন্দোলন রুখতে ১২ জনকে চাকরি! চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির
    ২৪ ঘন্টা | ১২ জুন ২০২৪
  • বিক্রম দাস:বেআইনি নিয়োগ নিয়ে আন্দোলন রুখতে অবৈধ চাকরি! এসএসসি নিয়োগ আন্দোলন থামাতে কি ১২ বিক্ষোভকারীকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল? এমন প্রশ্নই এবার জোরাল হয়ে উঠল। নবম-দশনে ৩ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এমনটাই বলছে ইডি। একাদশ ও দ্বাদশে দেওয়া হয় ৯ জনকে চাকরি।

    অবৈধ নিয়োগ নিয়ে চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। ইডির চার্জশিটে যে দাবি করা হচ্ছে হচ্ছে তা হল, যে ১৮৩ জনকে এস পি সিনহার সুপারিশে নিয়োগ করা হয়। ওইসব প্রার্থীর মধ্যে মোট ১২ জন অবৈধ নিয়োগ নিয়ে আন্দোলনে জড়িয়ে ছিলেন। প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তাদের নিয়োগ করা হয়। ইডির তরফে আরও বলা হচ্ছে, অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ, তাকে প্রসমন করেতেই শিক্ষা দফতর থেকে ওইসব নাম এসেছিল। তার ভিত্তিতেই ওই ১২ জনকে নিয়োগ করে এসএসসি। উদ্দেশ্য হল বিক্ষোভকারীদের প্রতিরোধ প্রসমন করা।ইডির তরফে যে দাবি করা হচ্ছে তাতে বলা হয়েছে, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় জড়িয়ে থাকা একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা বুঝতে পেরেছেন কোন ৩ জনকে নবম-দশম ও কোন ৯ জনকে দ্বাদশ-একাদশে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের নাম আপাতত গোপন রাখা হচ্ছে। কারণ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আরওকিছু জানতে চান। যারা প্রতিবাদ করলেন, বিক্ষোভ করলেন তাদের মধ্যে থেকেই  কীভাবে চাকরি হল? এটাই এখন বড় প্রশ্ন ইডির।এনিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কোনও সরকারের বিরুদ্ধে যখন কোনও আন্দোলন চলে তখন সেই সেই আন্দোলনকে থামাতে সরকার প্রথমে আলোচনায় বসে। এতে কাজ না হলে সরকার বলপ্রয়োগ করে। বিভিন্ন আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য বিভিন্ন রকম পন্থা নেয় সরকার। তৃণমূল কংগ্রেস গোটা সমাজটাকে খোলা বাজার বানিয়েছে। তারা মনে করেছিল মানুষের সবটাই কিনে ফেলা যায়। তারা মনে করেছে ১০০০ টাকার লক্ষ্ণীর ভান্ডার দিয়ে সমস্ত মহিলার সম্ভ্রম থেকে শুরু করে তাদের মত প্রকাশের স্বাধনীতা তারা কিনে নেওয়া যায়। বিষয়টি এমন নয়। আন্দোলন ভাঙার প্রক্রিয়াতেও তারা দুর্নীতি করে ফেলেছে। তৃণমূল আর দুর্নীতি সমার্থক শব্দ। লোকসভায় ২৯টি আসন জিতলেও তা ঢেকে যাবে না। আন্দোলন ভাঙার ক্ষেত্রেও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)