East Bengal: ইস্টবেঙ্গলের কর্মসমিতিতে ঝুলন গোস্বামী, ৩৮ জনের নতুন কমিটি গঠন...
আজকাল | ১৩ জুন ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: লাল হলুদ জার্সিতে এবার ঝুলন গোস্বামী। না, বাইশ গজে নয়। এবার সাংগঠনিক ক্ষমতায়। ইস্টবেঙ্গলের কার্যকরী কমিটির নতুন সদস্য হলেন ঝুলন গোস্বামী। দীর্ঘদিন পর সভাপতি এবং সচিব পদেও পরিবর্তন হল। ২২ বছর সচিব থাকার পর সরলেন কল্যাণ মজুমদার। তাঁর জায়গায় নতুন সচিব হলেন রূপক সাহা। তবে প্রাক্তন সচিবকে এবার সহ সভাপতির পদ দেখা যাবে। প্রণব দাশগুপ্তর জায়গায় নতুন সভাপতি হলেন জুপিটার ওয়াগনসের চেয়ারম্যান মুরারি লাল লোহিয়া। মুখ্য পরামর্শদাতা করা হল বিদায়ী সভাপতিকে। সহ সভাপতি হলেন অজয় কৃষ্ণ চ্যাটার্জি, শঙ্কর বাগরি, শুভাশিস চক্রবর্তী, রাহুল টোডি এবং কল্যাণ মজুমদার। ৩৮ জনকে নিয়ে গঠন করা হল ইস্টবেঙ্গলের নতুন কার্যকরী কমিটি। বুধবার শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে নতুন কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নতুন ভূমিকায় বেশ খুশি ঝুলন গোস্বামী। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে ক্লাবকে সাহায্য করতে চান জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। ঝুলন বলেন, 'ছোট থেকে আমরা মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল দেখেই বড় হয়েছি। স্বপ্নেও ভাবিনি আমি কোনওদিন ইস্টবেঙ্গলের সদস্য হব। তারপর কার্যকরী কমিটির মেম্বার হব। আমাকে সেই সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমার সীমিত অভিজ্ঞতা দিয়ে যথাসম্ভব চেষ্টা করব। যদি ভবিষ্যতে আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে কেউ উপকৃত হয়। ইস্টবেঙ্গলে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি সমান তালে হয়। এবার সিএবি ক্রিকেট লিগে মহিলাদের দল অংশ নিয়েছে। স্পোর্টসের জন্য ক্লাব। চাইব ইস্টবেঙ্গল আরও বেশি করে এগিয়ে যাক।' তিনটে প্রাথমিক লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গলের নবনির্মিত ফুটবল কমিটি। প্রাথমিক লক্ষ্য, ক্লাবের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করা। দ্বিতীয়ত, ক্লাবের পরিকাঠামো আরও ভাল করা। পরিকাঠামোর দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে এখনও কিছু কাজ বাকি। সেগুলো শেষ করা লক্ষ্য নতুন কমিটির। তৃতীয়ত, ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট। তরুণ ফুটবলার তুলে আনায় আরও নজর দিতে চান কর্তারা। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের দাবি, গত বছরের থেকে এবার আরও শক্তিশালী ফুটবল দল হবে। লক্ষ্য সুপার সিক্সে যাওয়া। পাশাপাশি এএফসিতেও ভাল রেজাল্ট করতে চান। ইস্টবেঙ্গলের নতুন কমিটির বিভিন্ন পদে রয়েছেন শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত (সহ-সচিব), সদানন্দ মুখোপাধ্যায় (অর্থসচিব), দেবদাস সমাদ্দার (কোষাধ্যক্ষ), সৈকত গাঙ্গুলি (ফুটবল সচিব), সঞ্জীব আচার্য (ক্রিকেট সচিব), প্রবীর কুমার দফাদার (হকি সচিব), পার্থ প্রতিম রায় (অ্যাথলেটিক্স সচিব), ইন্দ্রনীল ঘোষ (টেনিস সচিব) এবং রজত গুহ (মাঠ সচিব)।