• নবদ্বীপে জামাই ষষ্ঠীতে 'বিষ্ণুপ্রিয়া প্রাণধন' শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে জামাইআদর...
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ জুন ২০২৪
  • অনুপকুমার দাস: বিষ্ণুপ্রিয়াদেবীর বংশের জামাতা ধামেশ্বর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু। আজ সকাল থেকে নদিয়ার নবদ্বীপ ধামেশ্বর মহাপ্রভুর মন্দিরে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে বিভিন্ন আচার মেনে জামাই হিসেবে বরণ করলেন।জামাইষষ্ঠীর দিন ভোর থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে জামাই হিসেবে বরণ করা হয় মহাপ্রভুকে। এদিন নতুন ধুতি পাঞ্জাবিতে সাজানো হয় তাঁকে। পড়ানো হয় ফুলের মালা। গায়ে দেওয়া হয় সুগন্ধি। মহাপ্রভুকে নিয়ে এই মহা সমারোহের আয়োজন দেখতে প্রচুর দর্শনার্থীরা ভিড় করেন মহাপ্রভু মন্দিরে। মধ্যাহ্নেভোগ হিসেবে তাঁকে নিবেদন করা হয় শাক, থোড়, মোচা, শুক্তো, রকমারি তরকারি, ডাল, ভাজা, ছানার ধোঁকা, পনির ডালনা, পোস্ত। এছাড়াও বিশেষ ভোগ হিসেবে এদিন আমের রস ক্ষীরের সঙ্গে মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয় জামাইষষ্ঠী স্পেশাল আম ও নবদ্বীপের দই। সব শেষে দেওয়া হয় মশলা ও সাজা পান।

    জামাইষষ্ঠীর দিন প্রতিপদে বুঝিয়ে দেওয়া হয় গৃহত্যাগী শ্রীচৈতন্যদেব আসলে গোস্বামীদের জামাইরাজা। গোটা দিনের পুজোর মধ্যেই প্রকাশ পায় তাঁর এই জামাই আদরের বহর। বিষ্ণুপ্রিয়া প্রাণধন সেদিন সারা নবদ্বীপের মানুষের চোখে জামাই হিসেবেই আদর পেয়ে থাকেন। নবদ্বীপের মহাপ্রভু মন্দিরে কয়েকশো বছর ধরে চলে আসছে এই রীতি।মহাপ্রভুকে নতুন ধুতি-পাঞ্জাবিতে সাজানো হয় জামাই বেশে। পরানো হয় রজনীগন্ধা, গোলাপের মালা। গায়ে আতর। রুপোর রেকাবিতে ছানা, মিষ্টি দেওয়া হয়। সন্ধেবেলা নাটমন্দিরে বিশেষ কীর্তন, উজ্জ্বল আলোকসজ্জার আয়োজন। রাত ৯ টায় শয়নভোগ। ঘিয়ের লুচি, মালপোয়া আর রাবড়ি। সঙ্গে আবার খিলি করে সাজা সুগন্ধি পান।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)