• 'সোহমকে নিয়ে দেবের দাদাগিরি'! মন্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী মদন...
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ জুন ২০২৪
  • অয়ন ঘোষাল: দেব এবং সোহমকে নিয়ে মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছিলেন সেই মন্তব্য থেকে বিরত থাকলেন মদন মিত্র ক্ষমা ও চাইলেন সেই মন্তব্যের জন্য। মঙ্গলবার তিনি বলেন, 'সোহম যেটা করেছে সেটা কাম্য নয় সেটা কখনো ঠিক কাজ নয় । তবে সে সময় কি ধরনের পরিবেশ পরিস্থিতি ছিল যে সোহম এ ধরনের কাজ করলো সেটা আমি জানি না। আমি সেই সময় উপস্থিত ছিলাম না, তাই এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে পারব না'। সোহমের ঘটনায় সোহমের পাশে দাঁড়ালেন না অভিনেত্রী সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবনির্বাচিত সাংসদ হওয়ার পরে এই প্রথমবার রাজনৈতিক বক্তব্য রচনার। তিনি বলেন, 'সোহম যা করেছে সেটা তার নিজের বিষয় প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা ভাবনা-চিন্তা থাকে'। 

    সোমবার মদন মিত্র বলেন, 'সোহমের মতন ভালো ছেলে হয় না। প্রয়োজনে তাঁর হয়ে তিনি জামিন করাতে পারেন। যে ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটা অবশ্যই অন্যায়। কিন্তু এই নিয়ে এত লাফালাফি করার কিছু নেই'। পাশাপাশি, সোহমের বিরুদ্ধে দেবের মন্তব্য নিয়েও রীতিমতো তোপ দেগেছেন মদন মিত্র। তাঁর দাবি, দেব সিনেমার সাংসদ! সিনেমা না করলে কোনওদিন-ই সাংসদ হতে পারতেন না! দেবের মতো এরকম অনেক ছেলে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, যারা কেউ সাংসদ হতে পারেননি। বলেন, "তাঁকে বলব এই নোংরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকবেন না। পার্লামেন্টে যান আর সিনেমা করুন। বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ফলে এসব না করাই ভালো। দেবকে আমি খুব-ই পছন্দ করি। কিন্তু আমি মনে করি, দেবের মন্তব্য আসলে একটা দাদাগিরি। এটাও ঠিক না।'পাশাপাশি এদিন জামাইষষ্ঠী সেলিব্রেট করলেন মদন মিত্র। লোকসভায় তৃনমূলের আসন ২৯, লোকসভার ফলে চাঙ্গা তৃণমূল। ফল বেরোনোর পর বাঙালির প্রথম বড় উৎসব জামাই ষষ্ঠী। তাই সেলিব্রেশন হলো ভবানীপুরে। ৬২ পল্লি পুজো প্রাঙ্গণে বুধবার স্পেশাল ২৯ জোড়া মেয়ে জামাই বরণ করলেন পুরোদস্তুর শ্বশুরের ভূমিকা থাকা মদন মিত্র ও তৃনমূলের নব নির্বাচিত সাংসদ তথা অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী। মূলত যাদের আলাদা করে জামাইষষ্ঠী পালন করার সামর্থ্য নেই সেই সমস্ত দুঃস্থ পরিবারের প্রতি নিয়ে পালন করা হলো জামাইষষ্ঠীর অনুষ্ঠান।মদন মিত্র বলেন,'আজকের অনুষ্ঠান থেকে মোদি বাবুর জন্য একটাই কথা এসো মোদী দেখে যাও বাংলার কালচার বুঝে নাও। মোদি বাবু ভোটের আগে এসে বারবার যে বলেন তারা বহিরাগত নয়, তারা কি জানেন কিভাবে কোন মন্ত্রে কোন নিয়মে জামাইষষ্ঠী পালন হয় বাংলার ঘরে ঘরে। তারা জানেন না বলেই আজ এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আমি এবং রচনা প্রতিটি শশুর শাশুড়ি সেজে জামাইষষ্ঠী পালন করছি ২৯ জনকে সঙ্গে নিয়ে। যেহেতু আমরা এবার ২৯ টি আসন জিতেছি তাই সংখ্যাটা ২৯ রাখা হয়েছে। এখানে শুধু হিন্দু নয়, হিন্দু মুসলমান সর্বধর্ম সমন্বয়ে এই অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। এখান থেকেই মোদীজিকে আরো একবার বোঝাতে চাই বাংলায় সব ধর্ম সব স্তরের মানুষ একসাথে থেকে যে কোন অনুষ্ঠান পালন করে। এটাই বাংলার সংস্কৃতি'। অন্যদিকে জামাইষষ্ঠীর এই অনুষ্ঠান নিয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মদন মিত্রের এই অভাবনীয় উদ্যোগে আপ্লুত হয়ে তার আমন্ত্রণের সাড়া না দিয়ে পারলাম না। খুব ভালো লাগছে এ ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে'। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)