• ভূস্বর্গে জঙ্গি হামলা নিয়ে সরব বিরোধীরা
    আজকাল | ১৩ জুন ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য, দিল্লি : সংসদের ভিতরে, নির্বাচনী জনসভা থেকে শুরু করে নানান আইন নিয়ে ভাষণে নয়া কাশ্মীরের কথা শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের গলায়। বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে ২০১৯ সালে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর সেখানে শান্তি ফিরেছে। তৃতীয় এনডিএ সরকার শপথগ্রহণের পর পর জঙ্গি হামলা হওয়ায়, কেন্দ্রের সেই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। কাশ্মীরের হামলা প্রসঙ্গে বিরোধী শিবিরের দাবি, এটাই নয়া কাশ্মীরের চিত্র।দুদিন আগে জম্মুতে তীর্থ যাত্রী বোঝাই বাসে জঙ্গি হামলা হয়। সেই ঘটনায় প্রাণ হারান ৯ জন যাত্রী। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কাশ্মীরের কাঠুয়ায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টার হয়। গুলি বিনিময়ে প্রাণ হারান আধা সামরিক বাহিনীর এক জওয়ান। সেখানে যেভাবে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তারজন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল নীতি এবং অতি আগ্রাসী মনোভাবকেই দায়ী করেছে বিরোধী শিবির। জম্মু ও কাশ্মীরের কংগ্রেস নেতা গুলাম আহমেদ মীর বলেছেন, "সবচেয়ে বড় ঘটনা ঘটেছে শিবখোরি এলাকায়। তীর্থযাত্রীরা বৈষ্ণেোদেবী মন্দিরে যাচ্ছিলেন। তারপরেও আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এগুলো কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। যবে থেকে কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে, তবে থেকে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে।" সিদ্ধান্ত বলতে, তিনি ৩৭০ ধারা প্রত্যাবর্তনকেই বুঝিয়েছেন বলে কংগ্রেস সূত্রের দাবি। কংগ্রেস নেতা বিবেক তানখা বলেছেন, "আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বলব, কাশ্মীরটা শুধু ৩৭০ ধারা নিয়ে নয়। এই ধারা প্রত্যাবর্তন ছাড়া আর কোনও পরিবর্তন হয়নি। এরফলে কাশ্মীরী পণ্ডিত এবং অন্যান্যদের একাংশ খুশি হতে পারেন। কাশ্মীরের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, সকলকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে বা ভাগীদার করলে তবেই সেখানকার চিত্র বদলাবে।" পাশাপাশি দিল্লিতে দলের সদর দপ্তরের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরের কথায়, "এরজন্য কে দায়ী? আবকি বার বলে স্লোগান দেওয়া ব্যক্তি কোথায়? প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি জম্মু ও কাশ্মীর যাবেন না? এটা তাঁরই দায়িত্ব। যদি তিনি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন, তাহলে তাঁর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার কোনও অধিকার নেই।" ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা এবং সেখানকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা বলেন, "এখনও আমাদের প্রতিবেশীদের নিয়ে সমস্যা। সামরিক শক্তি দিয়ে সেই সমস্যা মেটানো যাবে না। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনা না করলে তার সমাধান হবে না। এই সমস্ত জঙ্গিরা সীমান্ত দিয়ে এদেশে ঢুকে পড়ছে। সেখানে যে সরকারই হোক না কেন, আমাদের একই সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। অমরনাথ যাত্রা আসছে। যে কোনও ছোটো ঘটনার প্রভাব পড়বে সারা দেশে। আমরা মানে কাশ্মীরীরা এরজন্য দায়ী নই।"
  • Link to this news (আজকাল)