• নামেই সংযোগ, জলের আকাল সীতাহাটির গ্রামে
    আনন্দবাজার | ১৩ জুন ২০২৪
  • গরমে হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে টান পড়েছে খাবার জলে। কেতুগ্রামের সীতাহাটি পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামে সরকারি নলবাহিত পানীয় জলের ট্যাপকলে মাস ছয়েক হল পর্যাপ্ত জল মিলছে না। গ্রামের রাস্তার ধার থেকে বাড়ি বাড়ি সরকারি ভাবে ওই কল বসানো হয়েছে। কিন্তু, বেশির ভাগ থেকেই জল পড়ে না বলে অভিযোগ। কোনও কলে সুতোর মতো জল পড়ে। এক বালতি জল ভরতেই দীর্ঘ সময় লাগে। এতে জলকষ্ট দেখা দিয়েছে এলাকায়। অবিলম্বে পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।

    পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সীতাহাটি পঞ্চায়েতের উদ্ধারণপুর বাজারপাড়া, দাসপাড়া, নৈহাটি গ্রামের ডাঙাপাড়া, বেনেপাড়া সহ লাগোয়া গ্রামে বছর তিনেক আগে পিএইচই-র সজলধারা প্রকল্পে গ্রাম ও বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়। দিনে তিন বার করে জল দেওয়ার কথা। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তার ধারের কল, সংযোগ নেওয়া বাড়িগুলিতে জল পৌঁছে যেত। এতে বাসিন্দারা উপকৃত হয়েছিলেন। ধীরে ধীরে পরিষেবা খারাপ হতে শুরু করে। প্রায় মাস ছয়েক হল ট্যাপকলগুলি নামেই আছে বলে অভিযোগ। কেউ কেউ নিজেদের বাড়িতে টাকা খরচ করে সাবমার্সিবল বসিয়ে জল পেলেও অভাবী লোকেদের সমস্যার শেষ নেই।

    উদ্ধারণপুর গ্রামের বাজারপাড়ার বাসিন্দা জয়দেব বিশ্বাসের কথায় “বাড়িতে সরকারি ট্যাপকলের সংযোগ থাকতেও জল পাচ্ছি না। তীব্র গরমে জলস্তর নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েল দিয়েও জল পড়ছে না। খুবই জলকষ্টে রয়েছি। প্রশাসনের উচিত বিকল্প ব্যবস্থা করা।’’ নৈহাটি ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা প্রতীত মজুমদার, কৃষ্ণা মজুমদার বলেন, “শুরুতে কিছু দিন ভাল ভাবে জল পেতাম। পরে পরিষেবা কমতে শুরু করে। এখন বেশির ভাগ কল থেকেই জল পড়ে না। কোনওটা দিয়ে সুতোর মতো জল পড়ে। ফলে আমাদের মতো অনেকে জলের আকালে ভুগছেন।’’

    সীতাহাটি পঞ্চায়েতের সদস্য উদ্ধারণপুর গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জু সরকার হালদার মানছেন, ‘‘এলাকায় বেশ কয়েক’টি গ্রামে সজলধারা প্রকল্পের ট্যাপকল দিয়ে জল পড়ছে না। ফলে জলকষ্ট দেখা দিয়েছে এই কথা ঠিক। বিষয়টি ঊধর্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’ কেতুগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সমস্যা মেটাতে দ্রুত সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করা হবে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)