নিউ টাউনের রেস্তরাঁ কাণ্ডের জের এ বার পৌঁছল কলকাতা হাই কোর্টে। সম্প্রতি নিউ টাউনের একটি রেস্তরাঁর মালিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের অভিনেতা-সাংসদ সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং লাগাতার হুমকি পাওয়ার অভিযোগ তুলে এ বার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আনিসুর আলম নামে ওই রেস্তরাঁ-মালিক। বুধবার তাঁর আইনজীবী হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা দায়েরের অনুমতি চান। বিচারপতি সেই অনুমতি দিয়েছেন। আগামী কাল, শুক্রবার মামলাটির শুনানি হতে পারে।
এ দিকে পুলিশ সূত্রের খবর, সোহমদের তরফে আনিসুরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তাতে মারামারির পাশাপাশি যৌন হেনস্থার কথাও বলা হয়েছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেই আনিসুর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, তাঁকে যৌন হেনস্থার মামলায় ফাঁসানো হতে পারে।
এ দিন আনিসুর অবশ্য পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কথা জানিয়েছেন। বিষয়টি ‘বিচারাধীন’ হওয়ায় বাকি অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত মন্তব্য করতে চাননি। তবে আনিসুরের আইনজীবী কোর্টে জানান, ওই ঘটনার পর থেকে তাঁর মক্কেলকে বার বার নানা মহল থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কোর্টের কাছে নিরাপত্তা চান মামলাকারী।
সম্প্রতি নিউ টাউনের একটি রেস্তরাঁর ছাদে শুটিং করছিলেন সোহম। সেই রেস্তরাঁর গেটের সামনে গাড়ি রাখা নিয়ে বচসা হয়। অভিযোগ, সোহম এবং তাঁর দেহরক্ষীরা আনিসুরের উপরে চড়াও হন। আনিসুরকে সোহম মারধর করেন। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া মারধরের ছবি (আনন্দবাজার পত্রিকা সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি) সামনে আনেন রেস্তরাঁ-মালিক। ঘটনার পরে সোহম প্রথমে দাবি করেন, আনিসুর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুকথা বলেছিলেন। তাই তিনি মারধর করেছেন। যদিও পরে কার্যত একই কথায় অনড় থেকে ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন এবং ক্ষমা চান সোহম।