ম্যাচের পর রোহিত বলেন, “জানতাম রান তাড়া করা কঠিন হবে। যে ভাবে আমাদের ব্যাটারেরা স্নায়ু ধরে রেখেছিল তার প্রশংসা করতেই হবে। ওই জুটিটার (শিবম-সূর্য) জন্যই জিতলাম। পরিণত মানসিকতা দেখিয়ে লম্বা একটা জুটি গড়ে জেতানোর জন্য সূর্য এবং শিবমের কৃতিত্ব প্রাপ্য।”
আমেরিকা দলে বেশ কয়েক জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার খেলেন। তাঁদেরই একজন, সৌরভ নেত্রভালকর এ দিন রোহিত ছাড়াও আউট করেছেন বিরাট কোহলিকে। সেই প্রসঙ্গে রোহিত বলেছেন, “ওরা অনেকেই দীর্ঘ দিন এক সঙ্গে ক্রিকেট খেলছে। ওদের উন্নতি দেখে খুব খুশি। গত বছর মেজর লিগ ক্রিকেটেও ওদের দেখেছিলাম। প্রত্যেকেই দারুণ পরিশ্রম করতে পারে।”
তিনটে ম্যাচেই যে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছে তা স্বীকার করেছেন রোহিত। এমনকি আমেরিকাও হাল ছাড়েনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। বিশ্বকাপের সুপার এইটে ওঠার প্রসঙ্গে রোহিত বলেছেন, “বড় শান্তি। এখানে ক্রিকেট খেলা সোজা ব্যাপার ছিল না। তিনটে ম্যাচেই শেষ পর্যন্ত পড়ে থেকে জয় ছিনিয়ে নিতে হয়েছে। এই জয় আগামী দিনে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দেবে।”
প্রথম দু’টি ম্যাচে রান দেওয়ার পর এ দিন আরশদীপ সিংহ ১০-এরও কম রানে চারটি উইকেট নিয়েছেন। কৃপণ বোলিং করেছেন হার্দিক পাণ্ড্যও। তাঁদের নিয়ে রোহিতের মন্তব্য, “আমরা জানতাম বোলারেরা আগেই আমাদের সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি করে দেবে। এই পিচে রান তোলা কঠিন ছিল। বোলারেরা নিজেদের কাজ করেছে। বিশেষত আরশদীপ।”
রোহিতের প্রশংসা থেকে বাদ যাননি সূর্যকুমারও। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সতীর্থকে নিয়ে রোহিত বলেছেন, “দরকারের সময় সূর্যের থেকে যে আলাদা ব্যাটিং দেখতে পাওয়া যায় এটা আমরা সবাই জানি। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের থেকে এটাই তো দরকার। যে ভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে গিয়েছে তা আমাদের স্বস্তি দেবে।”