জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিরাট কোহলি (Virat Kohli) জো বাইডেনের দেশে এসেই পেয়েছেন আইসিসি-র বর্ষসেরা ওডিআই ক্রিকেটারের ট্রফি। ২০২৩ সালে কোহলি ২৭ ওডিআই ম্য়াচে ১৩৭৭ রান করেছেন। গড় ৭২.৪৭, স্ট্রাইক রেট ৯৯.১৩। রয়েছে হাফ ডজন সেঞ্চুরি (সর্বাধিক অপরাজিত ১৬৬) ও আটটি ফিফটি। তার জন্য় তিনি পেয়েছেন ট্রফি। বলাই বাহুল্য় তেইশের বর্ষসেরা ওডিআই টিমেও ছিলেন তিনি। পেয়েছেন স্মারক হিসেবে টুপিও। গতবছর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপেও কোহলি ছিলেন আগুনে ফর্মে। ১১ ম্য়াচে করেছিলেন ৭৬৫ রান। আজ পর্যন্ত বিশ্বকাপের এক আসরে এত রান কেউ করেননি কখনও। রাজস্থান রয়্য়ালসের কাছে এলিমিনেটরে হেরেই রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল সপ্তদশ আইপিএল থেকে। তবে কোহলির মাথা থেকে কেউ অরেঞ্জ ক্য়াপ কাড়তে পারেননি। তিনি ১৫ ইনিংসে ৭৪১ রান করেছেন। ছিল একটি শতরানের ইনিংসও। তবে এই কোহলি চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে এসে চূড়ান্ত ফ্লপ। একেবারে বিবর্ণ দেখাচ্ছে সর্বকালের অন্য়তম সেরা ব্য়াটারকে। আয়ারল্য়ান্ড-পাকিস্তান-আমেরিকাকে ব্য়াক-টু-ব্য়াক হারিয়ে ভারত চলে গিয়েছে সুপার এইটে। পরপর তিন ম্য়াচে তাঁর ব্য়াট থেকে এসেছে ১,৪,০! দেখতে গেলে কোহলির সবচেয়ে বড় সমালোচকের নাম সুনীল গাভাসকর। পান থেকে চুন খসলেও ঝাঁপিয়ে পড়েন কিংবদন্তি। তবে এবার আর কোহলির সমালোচনা করলেন না সানি। বলে দিলেন যে, কিং কোহলির প্রতি তাঁর আস্থা রয়েছে।গাভাসকর বিশ্বকাপের সম্প্রচারকারী চ্য়ানেলে বলেন, 'যে কোনও প্লেয়ারের কাছে সবচেয়ে বড় মোটিভেশনই হচ্ছে ম্য়াচ জেতা। বিশেষত যখন কেউ দেশের হয়ে খেলছে। বছরের পর বছর বিরাট ভারতের হয়ে দারুণ খেলে আসছে। দেশকে প্রচুর ম্য়াচ জিতিয়েছে। আমার মনে হয় সেটা ও নিজে খুব ভালো জানে। এখন টি-২০ বিশ্বকাপের শুরুর দিকে আমরা। সুপার এইটে উঠেছি। তারপর আমরা সেমি ফাইনালে খেলব। আশা করি ফাইনালেও যাব। বিরাটের এখন যেটা প্রয়োজন, সেটা হল ধৈর্যশীল হয়ে নিজের উপর আস্থা রাখা। আমার মনে হয় ওর মধ্য়ে ধৈর্য এবং আস্থা দুই প্রচুর আছে। দেখুন কেউ তিন ম্য়াচে কম রান করল মানেই, সে খারাপ ব্য়াটার হয়ে গেল না। কখনও ভালো ডেলিভারিতে আমাদের উইকেট দিয়ে আসতে হয়। কখনও আবর বল ওয়াইড হয়ে যায়, স্লিপের উপর দিয়ে বাউন্ডারি হয়। হয়তো বিরাটের আমেরিকার বিরুদ্ধে হয়নি। ওর ফর্ম নিয়ে চিন্তা করার কোনও কারণই নেই। আমাদেরও বিরাটের উপর আস্থাশীল হতে হবে। আমাদের বিশ্বাস আছে যে, দ্রুত ও ফর্মে ফিরবে!'ভারত এবার নিউ ইয়র্ক থেকে পাত্তারি গুটিয়ে ফ্লোরিডায় যাবে। ব্রোওয়ার্ড কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কানাডার বিরুদ্ধে ১৫ জুন গ্রুপের শেষ ম্য়াচ খেলবেন রোহিতরা। দেখা যাক কোহলি চতুর্থ ম্য়াচে রানের মুখ দেখেন কিনা!