• ঘাড় থেকে ভূত নামল ভারতের! 'আতঙ্কের শহর' থেকে পালিয়ে বাঁচলেন রোহিত' অকপট অধিনায়ক
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ জুন ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চলতি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) সুপার এইটে উঠে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)! গত বুধবার আমেরিকাকে গুঁড়িয়ে রোহিতের মুখে ঘাড় থেকে ভূত নামার গল্পই। এই প্রথম বিশ্বকাপের আসর বসেছে নিউ ইয়র্কে। সুপার এইট থেকে খেলা হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। তার আগে আমেরিকায় মোট ১৬টি ম্য়াচ। তিনটি ভেন্য়ু বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রথমটি নিউ ইয়র্কের আইজেনহাওয়ার পার্ক ওরফে নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। দ্বিতীয়টি ফ্লোরিডার ব্রোওয়ার্ড কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও তৃতীয়টি টেক্সাসের গ্র্যান্ড প্রেরি স্টেডিয়াম। এই নাসাউতেই রোহিতরা টানা খেললেন ওয়ার্ম-আপ সহ মোট চারটি ম্য়াচ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গা ঘামিয়ে শুরুটা করেছিলেন। তারপর আয়ারল্য়ান্ড-পাকিস্তান ও আমেরিকা। আর এই নাসাউতে খেলতে দম বেরিয়ে গিয়েছে ভারতের। রোহিত একথা স্বীকারই করে নিলেন 'আমেরিকান ব্রেকফাস্ট'-এর পর। রোহিত খেলার পর সম্প্রচারকারী চ্য়ানেলে বলেন, 'আমরা জানতাম এই রান তাড়া করাও কঠিন হবে। তবে আমরা স্নায়ুর খেলায় যুগলবন্দি তৈরি করে জিততে পারার কৃতিত্ব নেব। সূর্যকুমার যাদব ও শিবম দুবে আমাদের এগিয়ে নিয়ে গেল। সুপার এইটে উঠতে পারা বিরাট স্বস্তির। এখানে ক্রিকেট খেলা মোটেই সহজ নয়। এই ম্য়াচ যে কেউ জিততে পারত। তিনটি ম্য়াচেই শেষ পর্যন্ত থাকতে হল। এই তিন জয় থেকে অনেক আত্মবিশ্বাস পেয়েছি।'আমেরিকার বিরুদ্ধে মাত্র ১১০ রান তাড়া করতে নেমে, ভারত হেলায় জিতে যাবে বলেই মনে করেছিলেন অনেকে, কিন্তু বাস্তবে তেমনটা ঠিক হয়নি। প্রাক্তন 'ভারতীয়' ক্রিকেটার সৌরভ নেত্রভালকর অন্য়রকম পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন। মাত্র ২.২ ওভারের মধ্য়ে ভারতের দুই ব্য়াটিং স্তম্ভ ও এই বিশ্বকাপের নতুন ওপেনিং জুটিকে তিনি ডাগআউটের রাস্তা দেখিয়ে দেন। ১০ রানে বিরাট কোহলি ও রোহিতের চলে যাওয়ায় ভারত কিছুটা হলেও চাপে পড়েছিল বটে। তবে ভারতের ব্য়াটিং লাইন-আপ রত্নখচিত। ফলে সমস্য়ার ভাইরাস সেভাবে ঢুকতে পারেনি টিমে। মাঝেমধ্য়ে ধাক্কা এসেছিল বটে। রোহিত-বিরাট ফেরার পর তিনে নেমে ঋষভ পন্থ ২০ বলে ১৮ রান করে ফিরে যান। আলি খানের ইয়র্কার তাঁর উইকেট ছিটকে দেয়। ঋষভ মোটামুটি ডিজাস্টার ম্য়ানেজমেন্টের কাজটাই করছিলেন। এরপর বিশ্বের এক নম্বর ব্য়াটার সূর্যকুমার যাদব (৪৯ বলে ৫০) ও শিবম দুবে (৩৫ বলে ৩১) মিলে বাকি কাজটা করে দেন।ভারত এবার নিউ ইয়র্ক থেকে পাত্তারি গুটিয়ে ফ্লোরিডায় যাবে। ব্রোওয়ার্ড কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কানাডার বিরুদ্ধে ১৫ জুন গ্রুপের শেষ ম্য়াচ খেলবেন রোহিতরা। দেখতে গেলে নাসাউ আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে গিয়েছিল। কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো পিচও ছিল না এখানে। আমেরিকা পিচ বানানোর বরাত দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া টার্ফ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ড্রপ-ইন পিচ বানিয়ে দেয়। চারটি প্রধান পিচ ও হাফ ডজন ড্রপ ইনি সারফেস ইনস্টল করেই খেলা হয়েছে। অর্থাৎ যে পিচ স্থানান্তর করা যায়। কিন্তু এই পিচ ঘিরেই একাধিক বিতর্ক হয়েছে। বহু ক্রিকেটার খেলতে নেমে চোট পেয়েছেন। বাইশ গজের একাংশ এও দাবি করেছিল যে, এই মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ কেন আন্তর্জাতিক ম্য়াচ আয়োজন করারও যোগ্য নয়। কারণ এই পিচের সেট হতে যে সময় লাগে, সেই সময় পায়নি। ফলে বলের বাউন্স থেকে শুরু করে স্কিড সবটাই ছিল একেবারে অপ্রত্যাশিত। রোহিত ছাড়াও একাধিক ক্রিকেটার এখানে চোট পেয়েছেন! 

     
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)