• রোহিতরা মাঠ ছাড়তেই চলে এল বুলডোজার! ১০৬ দিনে তৈরি স্টেডিয়াম গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ জুন ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চলতি বছর যুগ্ম ভাবে টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) আয়োজন করছে নিউ ইয়র্ক (New York) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ (West Indies)। দেখতে গেলে জো বাইডেনের দেশের মানুষের ক্রিকেট নিয়ে বিন্দুমাত্র উৎসাহ নেই। বিশ্বের এক নম্বর রাষ্ট্রের নাগরিকরা খেলাধুলো বলতে মূলত বোঝেন বাস্কেটবল ও রাগবি। কিছুটা হলেও ফুটবল। ক্রিকেট খায় না মাথায় দেয়, তাও হয়তো অনেকের আজও জানা নেই। আইসিসি মার্কিন মুলুকে ক্রিকেটের প্রচারের জন্য়ই বেছে নিয়েছে এই দেশ। এই প্রথম বিশ্বকাপের আসর বসেছে এখানে। সুপার এইট থেকে খেলা হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। তার আগে আমেরিকায় মোট ১৬টি ম্য়াচ। তিনটি ভেন্য়ু বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রথমটি নিউ ইয়র্কের আইজেনহাওয়ার পার্ক ওরফে নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দ্বিতীয়টি ফ্লোরিডার ব্রোওয়ার্ড কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও তৃতীয়টি টেক্সাসের গ্র্যান্ড প্রেরি স্টেডিয়াম। এই তিন ভেন্য়ুর মধ্য়ে সবচেয়ে বেশি চর্চায় এসেছে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম। কারণ এই ভেন্য়ুতে উদ্বোধনী ম্য়াচ ও ভারত-পাক মহারণ নিয়ে মোট আটটি ম্য়াচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেহেতু এই দেশে ক্রিকেট পরিকাঠামো একেবারে নেই বললেই চলে, সেহেতু এখানে বিশ্বকাপের জন্য় আমেরিকাকে ভরসা করতে হয়েছে অস্থায়ী নির্মাণের উপরেই। বিশ্বকাপের আগে আইজেনহাওয়ার পার্কের মধ্য়ে অবস্থিত নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম ছিল একেবারেই ন্য়াড়া একটা মাঠ। যেখানে ওই স্থানীয় ক্রিকেট খেলাই সম্ভব ছিল। আইসিসি যবে এই মাঠকে ভেন্যু হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার সবুজ সংকেত দেয়, তবে থেকেই এই মাঠ বিশ্বকাপের জন্য় সাজতে শুরু করে। মোট ১০৬ দিনে তৈরি হয়েছে স্টেডিয়াম। এককথায় যাকে বলে পপ-আপ স্টেডিয়াম। ৩৪ হাজার দর্শকের বসার ব্য়বস্থাও করা হয়েছে।

     কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো পিচও ছিল না এখানে। আমেরিকা পিচ বানানোর বরাত দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া টার্ফ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ড্রপ-ইন পিচ বানিয়ে দেয়। চারটি প্রধান পিচ ও হাফ ডজন ড্রপ ইনি সারফেস ইনস্টল করেই খেলা হয়েছে। অর্থাৎ যে পিচ স্থানান্তর করা যায়। কিন্তু এই পিচ ঘিরেই একাধিক বিতর্ক হয়েছে। বহু ক্রিকেটার খেলতে নেমে চোট পেয়েছেন। বাইশ গজের একাংশ এও দাবি করেছিল যে, এই মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ কেন আন্তর্জাতিক ম্য়াচ আয়োজন করারও যোগ্য নয়। কারণ এই পিচের সেট হতে যে সময় লাগে, সেই সময় পায়নি। ফলে বলের বাউন্স থেকে শুরু করে স্কিড সবটাই ছিল একেবারে অপ্রত্যাশিত। তবে নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়াম অতীত হয়ে গেল ভারত-ইউএসএ ম্য়াচের পরেই। রোহিত শর্মারা মাঠ ছাড়ার পরেই বুলডোজার এসে মাঠ ভাঙার কাজ শুরু করে দেয়। ফের আগের জায়গায় ফিরে যাবে নাসাউ। আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্য়ে যাবতীয় অস্থায়ী নির্মাণ ভেঙে গুঁড়িয়ে আগের জায়গায় নিয়ে আসা হবে। 

     
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)