স্টাফ রিপোর্টার: ফের হাই কোর্টের নিশানায় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা। বুধবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় ইডির আইনজীবীকে তাদের তদন্তকারী আধিকারিকদের সতর্ক করতে বললেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘ইডির আধিকারিকদের সতর্ক থাকতে বলুন। আমি খবর পাচ্ছি যে ইডির বেশ কয়েকজন আধিকারিক গা-ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হচ্ছে। কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, কাকে হবে না? কেন হবে না? এই সমস্ত নিশ্চিত তথ্য আমি পাচ্ছি।’’
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। এদিন তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে মুখবন্ধ খামে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই আদালতে রিপোর্ট পেশ করে। সেখানেই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আরও সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে আদালতে জানানো হয়। ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী বলেন, ‘‘১৪৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত নিশ্চিত করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য ২৫০ কোটি টাকার বেশি।’’ যদিও সম্প্রতি বাজেয়াপ্ত করা দুটি সম্পত্তি এখনো নিশ্চিত হয়নি বলে জানিয়েছে ইডি। সেখানে টাকার উৎস কী তা জানতে চান বিচারপতি সিনহা। তদন্তকারীরা সেখানে পৌঁছেছেন কি না তাও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। ইডির আইনজীবী জানান, ‘‘সেটা সিবিআইয়ের রিপোর্ট থেকে পাওয়া যাবে।’’ কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘আপনারা যদি তদন্তের অগ্রগতি না দেখাতে পারেন তাহলে অভিযুক্তরা তো জামিন পেয়ে যাবে।’’
একই সঙ্গে, চার্জগঠনের বিষয়ে তদন্তকারীরা কী ভাবছেন, তা জানতে চান বিচারপতি। উত্তরে কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী বলেন, ‘‘এখনও চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিল হয়নি।’’ অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা। ইডির আইনজীবীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘‘যেভাবে এগোচ্ছেন তাতে সময় লাগবে। কবে আপনাদের তদন্ত শেষ হবে সেটা আমি বুঝতে পারছি না।’’ আদালতে সিবিআইয়ের সওয়াল, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কারণে আমরা মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছি না।’’ তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট মানিক ভট্টাচার্যকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। এই কারণে তদন্তে বিলম্ব হচ্ছে। তবে সত্য উৎঘাটন নিয়ে আমরা আশাবাদী, আমাদের আরও কিছুটা সময় দেওয়া হোক।’’ ৩০ জুলাই পরবর্তী শুনানি।