• ওভারলোড ট্রাক চালাচ্ছেন নাজমা, টিপুরা! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে 'গোপন তথ্য' দিল ট্রাক সংগঠন
    প্রতিদিন | ১৪ জুন ২০২৪
  • নব্যেন্দু হাজরা: অতিরিক্ত মালবহনের জন্য মাঝেমধ্যেই লরি চালকদের আটক করে রাজ্য প্রশাসন। এবার সেই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের দাবি করে চিঠি লিখল পশ্চিমবঙ্গ ট্রাক অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের অভিযোগ, কিছু ব্যবসায়ী তাঁদের প্রভাব খাটিয়ে লরিতে অতিরিক্ত ভার বহন করে বালি, পাথর নিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের আরও দাবি, এই কাজে সাহায্য করছে  'দুর্নীতিগ্রস্ত' পুলিশ, বিএলআরও অফিসার ও প্রশাসনের কর্তারা।

    বছর কয়েক আগে নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, অতিরিক্ত ভার নিয়ে বালি, পাথর ইত্যাদি নিয়ে পরিবহন করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে ট্রাক মালিকদের। এর পরও কিছু ব্যবসায়ী সেই কাজ করে চলেছে বলে দাবি করল রাজ্য ট্রাক সংগঠন। তাদের অভিযোগ, বীরভূম, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী একপক্ষ বালির খাদান মালিকদের সাহায্যে অতিরিক্ত মালবহন করে চলেছে। এমনকী তাঁদের কাছে বৈধ ই-চালান থাকে না বলেও অভিযোগ সংগঠনের।

    এছাড়াও নদিয়া (Nadia), মুর্শিদাবাদ (Murshidabad), বর্ধমানের বহু এলাকায় অনেক গাড়ি নম্বর প্লেট ছাড়াই মালবহন করছে। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন কিছু অসৎ পুলিশকর্তা ও প্রশাসনের ব্যক্তিরা, এমনই দাবি তাঁদের। এমনকী যে অসাধু ব্যবসায়ীরা এই ট্রাক চালাচ্ছেন তাঁদের নামও উল্লেখ করেছে সংগঠন। চিঠিতে লেখা, "রাহুল, নাজমা, টিপু, সুলতান, সোনা-সহ আরও অনেকের নামে এই অবৈধ কাজ চলছে।" এই সব দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের জন্য সৎ ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ছেন বলেও চিঠিতে জানিয়েছেন তাঁরা।

    মুখ্যমন্ত্রীর (CM) হস্তক্ষেপের পাশাপাশি অসৎ ব্য়বসায়ী ও পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করে ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীকে লেখেন, "অসাধু ব্যবসায়ীদের রমরমা রুখতে ও রাজ্যের রাস্তাগুলো বাঁচাতে, সরকারের রাজস্ব বাড়াতে কঠোর পদক্ষেপ করুন। বিভিন্ন জেলার অসৎ পুলিশ কর্তাদের থেকে পরিবহন ব্যবসাকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।"

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি নবান্নে হওয়া প্রশাসনিক বৈঠকেও মমতার (Mamata Banerjee) মুখে একই কথা শোনা গিয়েছিল। প্রশাসনের কর্তাদের সতর্ক করে তিনি জানিয়েছিলেন, রাতের বেলায় ওভারলোড ট্রাক থেকে টাকা তুলছে পুলিশের একাংশ। একটা কোড ব্যবহার করা হচ্ছে। তার পর সেই টাকা চলে যাচ্ছে কাঁথিতে। নবান্ন সূত্রে খবর রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "ওভারলোডেড ট্রাকের থেকে পুলিশ টাকা তুলছে। সেই টাকা সরাসরি চলে যাচ্ছে কাঁথিতে। রাজ্য প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে তথ্য রয়েছে। প্রয়োজনে এই সবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।"
  • Link to this news (প্রতিদিন)