• ভোটের পর 'ঘরছাড়া'দের নিয়ে রাজভবনে শুভেন্দু, পথ আটকাল পুলিশ, গাড়িতেই বসে বিরোধী দলনেতা
    প্রতিদিন | ১৪ জুন ২০২৪
  • রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ভোট পরবর্তী সময়ে নানা অশান্তির জেরে 'ঘরছাড়া' বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১০০ জনকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু মাঝপথেই তাঁকে আটকাল পুলিশ। ধর্মতলার কাছে পুলিশি বাধা পেয়ে গাড়িতেই রইলেন শুভেন্দু।  তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের ছাড়পত্র থাকলেও কেন এভাবে আটকানো হল, তার কোনও কারণ দেখাচ্ছে না পুলিশ। 

    ভোটের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগে সরব শুভেন্দু, সুকান্তরা।  তাঁদের জন্য কলকাতার একটি ধর্মশালা 'মাহেশ্বরী ভবন' ভাড়া করা হয়েছিল, আশ্রয় দেওয়ার জন্য। সেখানে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখাও করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা নতুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু সেই মাহেশ্বরী ভবন থেকেও নাকি তাঁদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এর পরই শুভেন্দু অধিকারী সেসব ঘরছাড়াদের নিয়ে রাজভবন যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।

    বুধবার বিরোধী দলনেতা রাজ্যপালকে এই সংক্রান্ত বিষয় জানিয়ে ইমেল পাঠান। তাঁর দাবি, রাজ্যপালের সচিবের তরফে জানানো হয়, ঘরছাড়াদের নিয়ে রাজভবনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল, রাজ্যপাল সকলের সঙ্গে দেখা করবেন। সেইমতো বৃহস্পতিবার তাঁর সকলকে নিয়ে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেওয়া। কিন্তু মাঝপথে পুলিশ তাঁদের আটকায়। রাজভবনের চারপাশে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। একঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকার পর নেমে আসেন শুভেন্দু।  পুলিশের কাছে জানতে চান, কী কারণে আটকানো হল। পুলিশ জানায়, ১৪৪ ধারা জারি, তাই রাজভবনে এতজন মিলে যেতে পারবেন না।

    এর পরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের সামনে পেয়ে তিনি অভিযোগ করেন, রাজভবন থেকে ২০০ জন ঘরছাড়াকে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এখানে ১৪৪ ধারার নাম করে বিরোধী দলনেতাকে মাঝপথে আটকাচ্ছে পুলিশ। এই যুক্তি গ্রাহ্য হয় না। আর এ বিষয়ে তাঁর নিশানায় 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ'। সরাসরি পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নাম নিয়ে তাঁকে মমতার 'ভৃত্য' বলে তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের নির্দেশে কাজ করছে। জরুরি অবস্থার সময়েও এমন খারাপ পরিস্থিতি ছিল না। আমি বিরোধী দলনেতা, রাজ্যপালের কাছে অনুমতি নেওয়া সত্ত্বেও আমাকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে আমরাও শেষ দেখে ছাড়ব। আমরা সবাই সব কথা রাজ্যপালকে লিখিতভাবে জানাব। তাঁর সাহায্য চাইব।"
  • Link to this news (প্রতিদিন)