প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির সম্পাদকের বচসা ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল শিক্ষাঙ্গন। সম্পাদককে রড দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক ও এক শিক্ষাকর্মীর বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিপক্ষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের টালবাংরুয়া হাই মাদ্রাসার ঘটনা। আহত সম্পাদক চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিভাবকেরা এলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চাঁচলের এসডিপিও সোমনাথ সাহা বলেন, “দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সব খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক খাইরুল আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক বার বিক্ষোভ হয়েছে। অভিভাবকদের একাংশ মাদ্রাসায় মিড-ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় এ দিন পরিচালন সমিতির নব-নির্বাচিত সম্পাদক আব্দুল মাতিন মাদ্রাসায় গিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে চান। তিনি পড়ুয়াদের হাজিরা খাতা নিয়ে বসার কথা বললেও প্রধান শিক্ষক রাজি হননি। এ নিয়ে বচসার সময় মাতিনকে রড দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গী দুই সদস্যকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিভাবকেরা ছুটে আসেন। প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে ঘরে আটকে মারধরের অভিযোগ ওঠে।
পরিচালন সমিতির সভাপতি মহম্মদ হাবিবুল্লা বলেন, “দুর্নীতির কথা বলতে গেলে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমার স্কুল, যা খুশি করব। সব প্রকল্পে উনি দুর্নীতি করেন। কমিটিকে গুরুত্বই দেন না।” স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি আনোয়ারুল আলম বলেন, “কন্যাশ্রী, মোবাইল, সাইকেল বিলি, মিড-ডে মিল সবেতেই দুর্নীতি চলছে। কিছু দুষ্কৃতীকে নিয়ে উনি মাদ্রাসা চালান।” প্রধান শিক্ষক মহম্মদ খাইরুল আলমের দাবি, “দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওরা হাজিরা খাতা নিয়ে আমাকে বসতে বলেন। আমি বলি, ক্লাস চলছে। এখন কী ভাবে বসব। সমস্ত কিছুই ওদের পূর্ব পরিকল্পিত।”