বৃহস্পতিবার সকালে সেই দৃশ্য দেখেই আতঙ্ক ছড়ায় বাসন্তীর মসজিদবাটি গ্রামে। পরে কুমির ধরে নিয়ে যান বন দফতরের কর্মীরা। উদ্ধার হয়েছে তার ১৭টি ডিমও। বন দফতর জানিয়েছে, ডিম পাড়তে মিষ্টি জলের খোঁজেই কুমিরটি ঢুকে পড়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে এলাকার বাসিন্দারা কুমিরটিকে দেখতে পান। পুকুর পাড়ে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে ছিল। আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামে। বহু মানুষ ভিড় করেন। চেঁচামেচিতে স্থানীয় বাসিন্দা মঙ্গল মণ্ডলের পুকুরে ঝাঁপ দেয় কুমিরটি। পুলিশ ও বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় কুমিরটিকে ধরেন বনকর্মীরা। সেটিকে সজনেখালিতে বন দফতরের বিট অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন দফতর জানিয়েছে, সুস্থ থাকলে কুমিরটিকে সুন্দরবনের কোনও নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে।
বন দফতর ও স্থানীয় মানুষের অনুমান, মসজিদবাটী গ্রাম সংলগ্ন বিদ্যাধরী নদী থেকে কুমিরটি গ্রামে ঢুকে পড়ে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, “জুন থেকে অগস্ট কুমিরের ডিম পাড়ার সময়। সে সময়ে মিষ্টি জলের খোঁজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ার প্রবণতা রয়েছে কুমিরের। এই স্ত্রী কুমিরটিও সে ভাবেই ঢুকে পড়েছিল।’’ তিনি জানান, লম্বায় প্রায় ১০ ফুট কুমিরটির বয়স দশ-বারো বছর। উদ্ধার হওয়া কুমিরের ডিমগুলি ফোটানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে বন দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।