নিয়োগ মামলার তদন্তের সূত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আরও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। কলকাতার পাটুলি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে তাঁর জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর ইডি সূত্রে। তালিকায় রয়েছে বোলপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের নামও। ওই এলাকা থেকেও বেশ কিছু জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সম্পত্তি তারা বাজেয়াপ্ত করেছে, তা সরাসরি পার্থের নামে নয়। তবে এগুলি পার্থের বলেই তদন্তে জানতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। এর মধ্যে শুধুমাত্র বোলপুরেই অন্তত পাঁচটি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। যার বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা। জমি ছাড়াও একাধিক সংস্থার কাছ থেকে নগদ টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। যা পার্থের বলে মনে করা হচ্ছে। নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র সঙ্গে এই জমি, সম্পত্তি এবং টাকার যোগ আছে বলেই ধারণা ইডির।
নিয়োগ মামলার তদন্তের শুরুর দিকেই পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে বীরভূমের বোলপুরে একটি বাড়ির সন্ধান পেয়েছিল ইডি। সেই বাড়ির নাম ‘অপা’। সূত্রের খবর, কোনও সম্পত্তিই সরাসরি নিজের নামে রাখেননি পার্থ। সব নথিতেই তাঁর কোনও না কোনও ঘনিষ্ঠের নাম রয়েছে।
নিয়োগ মামলার তদন্তে নেমে ২০২২ সালে পার্থকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেই থেকে তিনি বন্দি। সে সময়ে পার্থের ‘বান্ধবী’ হিসাবে পরিচিত অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে ২২ কোটির বেশি এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ২৭কোটির বেশি টাকা উদ্ধার হয়। দুই ফ্ল্যাট থেকে বিদেশি মুদ্রা এবং সোনাও উদ্ধার করে ইডি। এই সমস্ত সম্পত্তি এবং সোনাদানা, ফ্ল্যাট-বাড়ি মিলিয়ে কম করে ৬০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। যা আদতে অর্পিতার নামে থাকা পার্থের সম্পত্তি বলেই দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। সম্প্রতি পাটুলি, বোলপুর এবং বিষ্ণুপুর থেকে যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল, তাতে ৬০ কোটির অঙ্ক আরও বেড়ে গেল। এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় মোট ১৩৫ কোটি টাকার নগদ এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। রাজ্যে প্রাথমিক এবং নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র মামলায় বাজেয়াপ্ত হয়েছে মোট ৩৬৫.৬০ কোটির সম্পত্তি।