• 'স্বামী কী করত, মেয়েরা কোথায় থাকে'' ডাকাতির ফাঁকে বৃদ্ধার সঙ্গে খোশগল্প
    ২৪ ঘন্টা | ১৪ জুন ২০২৪
  • বিধান সরকার: একা বৃদ্ধা, অবাধে ডাকাতি,লুটপাট চার দুষ্কৃতির। ব্যান্ডেল নলডাঙায় চাঞল্য। নলডাঙার বাসিন্দা রেনু পাল(৬৮)। তার দুই মেয়ে। বড় মেয়ে অদিতি বন্দ্যোপাধ্যায় থাকেন ব্যান্ডেল ওলাইচন্ডীতলায়। ছোটো মেয়ে সোনালী সিন্ধে থাকেন মুম্বাইতে। দু-মাস ছোটো মেয়ের বাড়িতে ছিলেন বৃদ্ধা। সে সময় বাড়ি বন্ধই ছিল। গত সোমবার নিজের বাড়িতে ফেরেন।শুক্রবার ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে বাথরুম যান। বেরিয়ে দেখেন ঘরে বসে আছে চার যুবক। তাদের মাথায় স্পট লাইট লাগানো।

    বৃদ্ধাকে দুষ্কৃতীরা বলে, চিৎকার করলে মেরে দেবে। হাত-পা বেঁধে রেখে শরীর থেকে সোনার গহনা খুলে নেয়। আলমারির চাবি নিয়ে আলামারি খোলে। পেনশনের ৩৫ হাজার টাকা তুলে রেখেছিলেন তা নিয়ে নেয়। ব্যাঙ্কের বই, চেক বই জামা কাপড় ছড়িয়ে ফেলে। একটা শাড়িও নিয়ে যায়। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে এই কান্ড চলে।বৃদ্ধা বলেন, দুষ্কৃতীদের বয়স ২২-২৪ হবে। নেশা করেছিল প্রত্যেকেই। একজন তো ঘুমিয়েও পরেছিল। ডাকাতি করার ফাঁকে বৃদ্ধার স্বামী কি করত, কবে মারা গেছে, মেয়েরা কোথায় থাকে এ সবও জেনে নেয় দুষ্কৃতীরা। বৃদ্ধার পাশেই থাকেন তার আত্মীয়রা। বৃদ্ধার জা মিতা পাল বলেন, আমরা পাশে থাকলেও কিছু টের পাইনি। ঘন বসতি এলাকায় এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ চট্টোপাধ্যায় পুলিসে খবর দেন। ব্যান্ডেল পুলিস ফাঁড়ি থেকে পুলিস আসে ঘটনার তদন্তে। কোদালিয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শুভঙ্কর রাহা বলেন, বড় রাস্তাগুলোতে পুলিস টহল দেয় কিন্তু ভিতরে রাস্তাগুলোতে পুলিস যায় না। এর আগে পুরনো কোদালিয়া এ ধরনের একটি ঘটনা হয়েছিল। তবে নলডাঙ্গায় এই প্রথম। দুষ্কৃতীদের ধরুক পুলিস, টহল বাড়ুক এটাই চাইব।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)