অর্ণব আইচ: অ্যাক্রোপলিস মলে তখন সবেমাত্র ভিড় জমতে শুরু করেছে। ভিতরে কর্মী-সহ একাধিক সাধারণ মানুষের জমায়েত। তারই মাঝে আচমকা বেজে উঠল ফায়ার অ্যালার্ম। তাতেই সজাগ সকলে। মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢাকল শপিং মল। দুরুদুরু বুকে হুড়োহুড়ি করে মলে থাকা সকলেই তখন বাইরে বেরতে ব্যস্ত। খোঁজ চলছে আপদকালীন দরজার। আতঙ্কিতদের দাবি, সেখানে আবর্জনার স্তূপ। তাই বাধ্য হয়ে সিঁড়ি দিয়েই শপিং মল থেকে বের করা হয় আতঙ্কিতদের। একে তো অন্ধকার। আবার তার উপর ধোঁয়ার দাপট। সব মিলিয়ে কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। চোটও পান বেশ কয়েকজন।
অ্যাক্রোপলিস মলের চারতলায় রয়েছে ফুড কোর্ট এবং বইয়ের দোকান। রয়েছে একাধিক অফিস। শপিং মলের চারতলায় থাকা বুক স্টোর থেকে ফুড কোর্টে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আচমকাই চারতলা থেকে কালো ধোঁয়া বেরতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে গলগল করে বেরনো কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় মলের ভিতর। দ্রুত খালি করে দেওয়া হয় শপিং মল। ক্রেতা এবং কর্মীরা কোনওক্রমে বাইরে বেরিয়ে আসেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। স্কাই লিফটের বন্দোবস্ত করে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। মলের কাচ ভেঙে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখানে হতাহতের কোনও খবর নেই।
কীভাবে অ্যাক্রোপলিস মলে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কীভাবে আগুন লাগে অভিজাত শপিং মল, তার তদন্ত হবে বলেই জানানো হয়েছে। তবে অব্যবস্থার অভিযোগ নিয়ে শপিং মল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সপ্তাহান্তে এই ধরনের ঘটনায় বড় কোনও বিপদ হয়নি। তবে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যথোপযুক্ত না হলে ভবিষ্যতে বিপদের আশঙ্কা থাকবে বলেই মনে করছেন আতঙ্কিতরা।