• 'দিদি ভরসা করেছেন, তাঁর মান রাখব', বললেন রাজনীতিতে আনকোরা মধুপর্ণা ...
    আজকাল | ১৫ জুন ২০২৪
  • পল্লবী ঘোষ: বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী করল রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুরকে। তিনি অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সহ-সঙ্ঘাধিপতি। তাঁর আরও একটি পরিচয় হল, কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের খুড়তুতো বোন। পরিবারের অনেকেই ওতপ্রোতভাবে রাজনীতিতে যুক্ত। বিধানসভা উপনির্বাচনের টিকিট পাওয়ার আগে পর্যন্ত রাজনীতি থেকে শতহস্ত দূরে ছিলেন মধুপর্ণা। মাত্র ২৫ বছর বয়সে ভোটের টিকিট পেয়ে কেমন অনুভূতি? মধুপর্ণা জানালেন, 'আজ সকালে মা-ই প্রথম খবরটা দেন। টিকিটের প্রত্যাশা তো দূরের কথা, চিন্তাভাবনার মধ্যেও ছিল না। ৩০ মে জন্মদিন ছিল। আন্দোলনের জন্য কোনও উদযাপন হয়নি। এই টিকিট যেন জন্মদিনের শ্রেষ্ঠ উপহার। আমাদের পরিবারে এত কম বয়সে কেউই সক্রিয় রাজনীতিতে আসেননি। আমিই প্রথম। আমার উপর যে মুখ্যমন্ত্রী ভরসা করেছেন, এটাই অনেক।' মতুয়া মহামেলা চলাকালীন ঠাকুরমা বীণাপাণিদেবীর ঘর জোর করে কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে আমরণ অনশনে বসেছিলেন মধুপর্ণা। অনশন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। সেই সময়েই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলেছিলেন মধুপর্ণা। আন্দোলনের পাশাপাশি এবার আরও এক বড় দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। তৃণমূলের পুরনো গড় দখল করা। রাজনীতিতে আনকোরা মধুপর্ণার কি বাড়তি টেনশন রয়েছে? তাঁর কথায়, 'আমার রক্তে রাজনীতি। ঠাকুরদা, ঠাকুরমা, বাবা, মা সকলকেই সক্রিয় রাজনীতিতে দেখেছি। মতুয়াদের অধিকার নিয়ে লড়াই করতে দেখেছি। বরাবরই তাঁরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকতেন। ছোট থেকে তা দেখেই রাজনীতির পাঠ শুরু। এখন মা-ই আমার ফ্রেন্ড, ফিলোজফার, ও গাইড। আগামিকাল থেকেই প্রচার শুরু করব। মাকে অনুসরণ করেই এই নতুন পথচলা শুরু হবে আমার।' মধুপর্ণার হামাগুড়ি দেওয়ার বয়স থেকেই তাঁর বাড়িতে যাতায়াত ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। টিকিট পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রার্থী বললেন, 'ছোট থেকেই 'দিদি' বলতাম মুখ্যমন্ত্রীকে। এখন মুখ্যমন্ত্রী সম্বোধন করলেও, ওঁকে বাড়ির সদস্যের বাইরে ভাবতে পারি না। উনি আমাদের পরিবারেরই একজন। যেভাবে পাশে থেকেছেন, আজও আমাদের জন্য লড়ে যাচ্ছেন, তা শিক্ষণীয়। দিদির ভরসা বজায় রাখার জন্য দিনরাত এক করে কাজ করব।' লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ঝোড়ো ব্যাটিং সত্ত্বেও বনগাঁ গড় পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বাগদা কেন্দ্র মতুয়া অধ্যুষিত এলাকা। বিশ্বজিৎ দাস লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার পর বাগদার বিধায়ক পদ ছাড়েন। এরপর কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে জল্পনা ছিল প্রথম থেকেই। দেখা গেল, শেষমেশ ঠাকুরবাড়ির সদস্য, এই তরুণ তুর্কির উপরেই ভরসা রাখল দল। নজরে মতুয়া ভোট। কেন্দ্রের বঞ্চনা ও সিএএ ইস্যুকে হাতিয়ার করে প্রচারে নামবেন মধুপর্ণা। তাঁর হাত ধরে বাগদা তৃণমূলের দখলে আসে কি না, সেদিকেই থাকবে নজর।
  • Link to this news (আজকাল)