সুখবর! কেটেছে জট, পুলিশের অনুমতি পেয়েই নিকো পার্ক পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণের কাজ শুরু
প্রতিদিন | ১৫ জুন ২০২৪
নব্যেন্দু হাজরা: পাতালরেল কলকাতার ঐতিহ্য। আবার পরিবহণ ব্যবস্থার ?লাইফলাইন?ও বটে। প্রথমদিকে শহরের উত্তর-দক্ষিণ প্রান্ত সুড়ঙ্গ পথে যুক্ত হলেও দিনদিন তা বাড়ছে আড়ে-বহরে। গোটা কলকাতা এবং লাগোয়া শহরতলির সংযোগ ঘটে যাচ্ছে পাতালপথেই। সেই লক্ষ্যে আরও একধাপ এগোল কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ (Kolkata Metro Railway)। নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মীয়মাণ রুটে জট কেটে পুলিশের অনুমতি পাওয়ায় নিকো পার্কে লাইন সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত শুরু হচ্ছে বলে সুখবর শুনিয়েছেন মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র।
অরেঞ্জ লাইন অর্থাৎ নিউ গড়িয়া (New Garia)থেকে দমদম বিমানবন্দর (DumDum Airport) পর্যন্ত যে রুট সম্প্রসারণের প্রকল্প চলছে, সেই রুটের একটি অংশ ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় নিকো পার্কের (নলবন) কাছে লাইন তৈরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ভায়াডাক্ট (viaduct) নির্মাণ করা যাচ্ছিল না। এনিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ ও বিধাননগর পুলিশের (Bidhannagar City Police) মধ্যে চাপা দ্বন্দ্বও চলছিল।
অবশেষে সেই জটিলতা কেটেছে। নিকো পার্কের (Nicco Park) কাছে নন-কনকর্স স্ল্যাব তৈরিতে আর কোনও বাধা নেই বলে শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। তা স্বভাবতই যাত্রীদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের খবর। মেট্রোর তরফে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে NOC (No Objection Certificate) পাওয়ার পরেরদিন থেকেই ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। গত ১৫ তারিখ পর্যন্ত তা চলবে। গত সাতদিনের ট্রায়াল রানের (Trial Run) ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করে বাকি সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে।
মেট্রোরেল সূত্রে খবর, ট্রাফিক ব্লকের সমস্যা মিটলে অর্থাৎ ভায়াডাক্ট নির্মাণের কাজ শুরু করাই আসল। তার পর ৩ মাসের মধ্যেই গোটা লাইন সম্প্রসারণের কাজ শেষ করা সম্ভব। যেহেতু এই পাতালপথে একেবারে বিমানবন্দর পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে, সেই কারণে বেশ কয়েকটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মসৃণ পথের জন্য লাইন চওড়া করা এবং পর্যাপ্ত আলোর (Light) ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বিমানবন্দর এলাকায় আলো বাড়াতে অতি সাবধানে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। চালক ও যাত্রীদের সুবিধায় বসানো হচ্ছে বিশেষ সিগন্যাল। সমস্ত কাজ শেষ হতে তিনমাসের টার্গেট নিয়েছেন মেট্রো কর্তারা। সব ঠিক থাকলে পুজোর সময়ই চালু হতে পারে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর পাতালপথ। সেই সুদিনের অপেক্ষায় যাত্রীরা।