দুই ট্রেনের ধাক্কা! এক্সপ্রেস ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা এক পাশে উল্টে গিয়েছে। তার উপরে উঠে গিয়েছে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের কামরা। দুই কামরাতেই আটকে যাত্রীরা। আরপিএফ, পুলিশ, রেলপুলিশ, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা উদ্ধারের জন্য ছোটাছুটি করছেন। অ্যাম্বুল্যান্স ও দমকলের সাইরেনে চমকে উঠেছেন অনেকে? হল কী? সমাজ মাধ্যমে অনেকেই জানতে চান, শুক্রবার সকালে আদ্রায় কি সত্যিই রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে?
রেল অবশ্য জানাচ্ছে, না। পুরোটাই নকল রেল দুর্ঘটনা। সত্যিকারের দুর্ঘটনা ঘটলে বিভিন্ন দফতরের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কত দ্রুত উদ্ধারকাজ চালাতে পারেন, কোনও খামতি থাকছে কি না, ইত্যাদি খতিয়ে দেখতেই এই নকল রেল দুর্ঘটনার উদ্ধারের মহড়া করা হল।
আদ্রার ডিআরএম সুমিত নারুলা বলেন, ‘‘এমনিতেই রেল বছরভর ছোটখাটো নকল মহড়া তথা ‘মক ড্রিল’ করে থাকে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী একটা বড়সড় বিপর্যয়ের মোকাবিলা করা হয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে নিয়ে। তাতে বোঝা সম্ভব হয় বড়সড় বিপর্যয় মোকাবিলায় কতটা তৈরি রেলের কর্মীরা।’’ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কল্যাণীর ২ নম্বর রেজিমেন্ট মহড়ায় যোগ দেয়। ছিলেন বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডান্ট আনন্দ সিংহ।
কামরায় আটকে থাকা যাত্রী হিসেবে ছিলেন কিছু স্বেচ্ছাসেবক ও পুতুল মডেল। গ্যাস কাটার দিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার কাচের জানলা কেটে ক্রেনের সাহায্যে ভিতরে ঢোকেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য ও রেলের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা। স্টেচারে নামানো হয় আহতদের। অ্যাম্বুল্যান্সে পাঠানো হয় হাসপাতালে। এর মধ্যেই কামরায় নকল আগুন লাগে। তা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য নেওয়া হয় দমকলের।
ডিআরএম সুমিত নারুলা বলেন, ‘‘কত দ্রুত সবাই উদ্ধার কাজ করতে পারেন, তা নিয়ে রিপোর্ট কার্ড তৈরি করা হবে। খামতি পাওয়া গেলে তা নিয়ে আলোচনা হয় পরবর্তী সময়ে।তবে এ দিন নকল মহড়ায় কোনও সমস্যা হয়নি। দেড় ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে।” তবে সূত্রের দাবি, এ দিন উদ্ধারকাজে এক রেল কর্মী অল্পবিস্তর চোট পান।