• বাবার বহুমুখী ভূমিকাকে কুর্ণিস জানাতে ‘পাপা হঁ্যায় না’
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৫ জুন ২০২৪
  • মুম্বই, ১৫ জুন? বাবারা চিরকালই সন্তানদের জীবনে অনুপ্রেরণার উৎস৷ জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা করার ব্যাপারে তাঁদের বিচক্ষণ পদক্ষেপের জুড়ি নেই আর প্রত্যেক সন্তানই তার বাবার পরামর্শের জন্য কৃতজ্ঞ৷ সেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশে ডিজিটাল ফিল্ম ‘পাপা হঁ্যায় না’৷ রবিবার ১৫ জুন বিশ্ব পিতৃ দিবস৷ এই দিনটি উপলক্ষে এবার এই ডিজিটাল ফিল্মের উদ্যোগ এসবিআই লাইফ ইনশিওরেন্স৷ জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে গভীর বাস্তবসম্মত পরামর্শ দেওয়ায় ‘লাইফ মিত্র’ হিসাবে বাবাদের ভূমিকাকে তুলে ধরা হয়েছে এই ফিল্মের মাধ্যমে৷
    এবারের ফাদার্স ডে-তে সন্তানের জীবনে ‘লাইফ মিত্র’ হিসাবে বাবা যে বন্ধু, পরামর্শদাতা এবং আর্থিক অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেন, তাকে সম্মান জানাচ্ছে৷ এই ফিল্ম বাবাদের বাস্তবসম্মত এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ দিকটা তুলে ধরে৷ তাঁরা জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান৷
    ছেলেকে সংকট মুহূর্তে পথ দেখানো একজন কার্যকর লাইফ মিত্র (জীবন বিমা পরামর্শদাতা) হিসাবে তুলে ধরে এই ডিজিটাল ফিল্ম দেখিয়ে দেয়, যে কীভাবে বিমা পরামর্শদাতারা পেশাগত ও ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ, দুটোই একই দক্ষতায় পালন করতে সক্ষম৷
    এই ক্যাম্পেন সম্পর্কে রবীন্দ্র শর্মা, চিফ অফ ব্র্যান্ড, কর্পোরেট কমিউনিকেশন অ্যান্ড সিএসআর, এসবিআই লাইফ, জানালেন, ‘বাবাদের প্রথাগতভাবে পরিবারের ভরসা হিসাবে দেখা হয়, যাঁরা প্রিয়জনদের প্রয়োজন ও সাধ পূরণ করার জন্যে অক্লান্তভাবে কাজ করেন৷ আজ একজন বাবা কেবল পরিবারের অনুপ্রেরণাদাতা প্রধানই নন, পরিবার এবং সন্তানদের নিয়ে জীবনের বাধাগুলো পেরনোর ক্ষমতার কারণে তিনি সন্তানদের এক বিশ্বস্ত বন্ধু আর পরামর্শদাতাও বটে৷ এসবিআই লাইফের ‘পাপা হঁ্যায় না’ ডিজিটাল ফিল্ম দেখিয়ে দেয় কীভাবে বাবারা ছেলেমেয়েদের সযত্ন বৃদ্ধি ঘটাতে একজন লাইফ মিত্রের মতই কাজ করেন৷
    একটা ক্রিকেট প্রশিক্ষণ শিবিরের বাইরে জুসের দোকানের চেনা প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ডিজিটাল ফিল্মে ১১ বছরের ছেলে চিন্টু আর তার বাবা, এসবিআই লাইফ মিত্র, অর্থাৎ বিমা পরামর্শদাতা সুরেশ মাধবের এক মন ছুঁয়ে যাওয়া কথোপকথন দেখানো হয়৷ গল্পটা এইরকম যে চিন্টু তার ক্রিকেট দলে নির্বাচিত না হওয়ায় বিধ্বস্ত হয়ে খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছে৷ তার বাবা লাইফ মিত্র হিসাবে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ছেলেকে এই হতাশা থেকে উদ্ধার করতে পেশাদার অথচ যত্নবান দৃষ্টিভঙ্গি নেন৷ ফলে পরিষ্কার হয় যে কীভাবে কর্মজীবনের দক্ষতা পারিবারিক জীবনের সমস্যাও মিটিয়ে দিতে পারে৷
    সাহিল শাহ, প্রেসিডেন্ট, ডিজিটাল এক্সপিরিয়েন্স অ্যাট ডেন্টসু ক্রিয়েটিভ, বললেন “এসবিআই লাইফ ইনশিওরেন্সের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি এই ফিল্ম লাইফ মিত্র বাবাদের এক বিশেষ উপায়ে উদযাপন করে, তাঁদের পরামর্শদাতা এবং বন্ধুর দ্বৈত চরিত্র পালন করতে দেখায়৷ এসবিআই লাইফের পাপা হ্যায় না ক্যাম্পেনের সঙ্গে আমাদের অনেকদিনের সম্পর্ক৷ এবারে আমাদের লক্ষ্য ছিল এটা তুলে ধরা, যে একজন বাবার, বন্ধু হিসাবে দেওয়া পরামর্শ কখনো ভুল হয় না৷”
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)