প্যারা তাইকোন্ডোতে বাংলার জয়জয়কার, এল পাঁচটি পদক
আজকাল | ১৬ জুন ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্যারা তাইকোন্ডোতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স বাংলার। জাতীয় স্তরে আবার জ্বলে উঠলেন বাংলার প্যারা অ্যাথলিটরা। সাহারানপুরে দু'দিনব্যাপী সপ্তম প্যারা তাইকোন্ডো চ্যাম্পিয়নশিপে পাঁচটি পদক এল বাংলায়। তারমধ্যে দুটি স্বর্ণপদক, তিনটে রুপো। কে৪৪ বিভাগে সোনা জেতেন গোবিন্দ রায়। পি৪৫ বিভাগে সোনা পান আতার আলি। একই ক্যাটাগরিতে রুপো জেতেন রুবিয়া চ্যাটার্জি দাস। পি১১ বিভাগে রুপোর পদক পান শুভজিৎ চৌধুরী। পি১২ তে রাজ্যকে আরও একটি রুপো এনে দেন সাহেব হুসেন। এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাঁচজন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। কেউই খালি হাতে ফেরেনি। তারমধ্যে প্রথমবার নেমেই সোনা পান আতার। তাইকোন্ডো নিয়ে বিশেষ ধারণা ছিল না তাঁর। আরও দুই প্রতিযোগী রুবিয়া এবং সাহেবের সঙ্গে একদিন চন্দননগরে তাঁদের প্রশিক্ষকের কাছে প্রশিক্ষণ নিতে যান। সেখান থেকে সরাসরি প্রতিযোগিতায়। সাহারানপুর স্টেশনে রাত একটার সময় আরও দুই সতীর্থের তত্ত্বাবধানে প্র্যাকটিস করেন। তারপর প্রতিযোগিতায় নেমেই সোনা। স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত। আতার বলেন, 'আমার জীবনের প্রথম প্রতিযোগিতা। তাইকোন্ডো নিয়ে আমার তেমন ধারণা ছিল না। চন্দননগরে স্যারের কাছে একবার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। তারপর মাঝরাতে সাহারানপুর স্টেশনে প্র্যাকটিস। প্রতিযোগিতায় নেমে ভয় লাগছিল। দিল্লি, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশের প্রতিযোগীরা ছিল। তবে আমার একটা ফিগারও ভুল হয়নি। তখনই বাকিরা বলেছিল, আমি সোনা পাব। তবে আমার মনে একটা ভয় ছিল। কিন্তু আমি ৪.৯ পাই, যা খুবই ভাল। দারুণ আনন্দ হয়েছিল সোনা জিতে।' প্যারা তাইকোন্ডো তুলনায় নতুন। ২০০৫ সালে শুরু হয়। ২০০৯ সালে প্রথম বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৭ থেকে প্যারালিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত হয় প্যারা তাইকোন্ডো। তবে ২০২১ টোকিও অলিম্পিকে অভিষেক হয় প্যারা তাইকোন্ডোর। জুডো যোগ হওয়ার ৩৩ বছর পর দ্বিতীয় কন্টাক্ট স্পোর্টস হিসেবে এই খেলা যুক্ত হয়। দুই বিভাগে ভাগ করা হয় এই খেলাকে। যাদের হাতে সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য কায়োরুগি শাখা, অন্যটা পুমসে। বিভিন্ন ওয়েট ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগীদের ভাগ করা হয়।