• বাড়ির বাগানে ব্যানানা ম্যাঙ্গো, আমেরিকান কেন্ট সহ ২৫ প্রজাতির আমের সমাহার...
    আজকাল | ১৬ জুন ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: আগে থেকেই সখের মিয়াজাকি ছিল বাগানে। তার পর অনেক খুঁজে হাওড়ার এক নার্সারি থেকে কিনে এনে বাগানে বসিয়েছিলেন আমেরিকান কেন্টের চারা গাছ। বছর তিনেক আগে সেই চারা গাছের দাম নিয়েছিল সাড়ে ৬ হাজার টাকা। এখন সেই গাছে আম হয়েছে। আম হয়েছে একাধিক বিদেশি প্রজাতির গাছে। দেশ বিদেশের নানা গাছে ভর্তি বাগান। তবে অধিকাংশ গাছ ফলের। অবশ্যই বাগানে থাকা সেই গাছ বেশ দামী এবং দুষ্প্রাপ্য। কী নেই সেই বাগানে। ফলে রয়েছে মিয়াজাকি, আমেরিকান কেন্ট, চ্যাং মাই, বুনাই কিং, ইয়োলো আইভরি, ব্যানানা ম্যাঙ্গোর মত দুষ্পাপ্য ২৫ প্রজাতির আম। আমের পাশাপাশি পান্ডুয়ার বেনেপাড়ার ওই বাগান ভরে রয়েছে ভিয়েতনামের লাল কাঁঠাল, আতা, সবেদার মত বিভিন্ন দেশের নানান প্রজাতির বিভিন্ন ফল গাছে। খুঁজলে আমের প্রজাতি মিয়াজাকি হয়তো একাধিক বাগানে দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু 'আমেরিকান কেন্ট'কে এখনও বেশ দুষ্প্রাপ্যই বলা যেতে পারে। তবে কোনও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নিয়ে নয়। নিতান্তই সখ মেটাতে পাণ্ডুয়া বেনেপাড়া এলাকায় বাড়িতেই আমবাগান করেছেন পার্থ দে। পেশায় তিনি একজন কেবল অপারেটর। কেবলের ব্যবসার পাশাপাশি তার সখ গাছ লাগানো। তবে সেটা অবশ্যই ফলের। অনেকেই ফুলের গাছের সৈখিন। তবে পার্থর ফুলের প্রতি তেমন আগ্রহ নেই। তাই দেশ বিদেশের নানান প্রজাতির ফলের গাছে ভরে ফেলেছেন নিজের বাড়ির বাগান। নিজে আম খেতে ভালবাসেন। তাই ওই ফলের প্রতি দুর্বলতা একটু বেশি। তাই তাঁর বাগানে দেশ ছাড়াও শুধু মাত্র বিদেশের ২৫ প্রজাতির আম গাছ রয়েছে। আর গত পাঁচ বছর ধরে তার বাগানে ফলছে বিদেশের নানা প্রজাতির আম। ইতিমধ্যেই তিনি ওই বাগানের পেছনে লাখ লাখ টাকা খরচ করে ফেলেছেন। কিনেছেন কয়েক লাখ টাকার ফলের গাছ। সার, খোল ছাড়াও রয়েছে গাছের নানা রকমের ওষুধপত্র। তার উপর নিয়মিত পরিচর্যা। যা তিনি নিজেই করে থাকেন। তার বাগানে থাইল্যান্ডের একটি আমের প্রজাতির রয়েছে, যে গাছে ১২ মাস আম ফলে। তবে পার্থর আক্ষেপ, রাস্তাঘাটে চলার সময় একাধিকবার তার নজরে পড়েছে ফলন্ত গাছ কেটে ফেলার দৃশ্য। প্রতিবাদ করে লাভ হয়নি। তাই তিনি নিজেই গাছ লাগানোর সংকল্প গ্রহণ করেন। বাড়ির বাগানে গড়ে তোলেন বিভিন্ন ফলের গাছের সমাহার। নিয়মিত পরিচর্যা করে, তাঁর পরিশ্রম সার্থক হয়। সব গাছে ফল ধরে। এর ফলে একদিকে যেমন তাঁর গাছ লাগানোর উদ্দেশ্য সফল হয়, পাশাপাশি ফল খাওয়াটাও হয়। এবছর সর্বত্রই আমের ফলন কম। সেই প্রভাব পড়েছে তাঁর সখের বাগানেও। আম ফলেছে, তবে সেটা পরিমাণে অনেকটাই কম।ছবি পার্থ রাহা।
  • Link to this news (আজকাল)