মিটিং-মিছিল, পথসভায় ভিড় অনেক ক্ষেত্রে বাম আমলকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল। মানুষের ‘উৎসাহ’ দেখে রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো হুগলিতেও লোকসভা নির্বাচনে ‘ভাল কিছু’র প্রত্যাশা ছিল সিপিএমের। তা পূরণ হয়নি। তবে, মোটের উপর ভোট বেড়েছে। শ্রীরামপুর লোকসভায় অন্তত ‘সম্মানজনক’ দ্বিতীয় স্থান আশা করেছিল তারা। কিন্তু তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। কেন মানুষ মুখ ফিরিয়েই রইলেন, তা নিয়ে অন্য জেলার মতো হুগলিতেও ভোটের ফলের বুথভিত্তিক কাটাছেঁড়া শুরু করেছে সিপিএম।
জেলা সিপিএম সূত্রের খবর, বুথ কমিটি থেকে জেলার মোট ৪২টি এরিয়া কমিটির কাছে রিপোর্ট যাবে। এরিয়া কমিটিগুলি তা পর্যালোচনা করে জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠাবে। জেলা নেতৃত্ব চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্য কমিটির কাছে পাঠাবে। জেলা কমিটির কাছে রিপোর্ট পৌঁছনোর জন্য ভোটের ফল প্রকাশের দিন থেকে এক মাসের সময়সীমা স্থির হয়েছে। গণনা হয়েছিল গত ৪ জুন। চলতি মাসেই সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ফলাফলের ময়নাতদন্তে বসবেন।
এর আগে ভোটের ফল বিশ্লেষণে সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার প্রেক্ষিতে রাজ্য কমিটিকে রিপোর্ট দিতেন।তার ভিত্তিতেই রাজ্য নেতৃত্ব পর্যালোচনা করতেন। এ বার সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ছে। প্রথমে বুথস্তর থেকে ফলাফল নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে জেলার চারটি মহকুমার এরিয়া কমিটির কাছে পেশ করা হবে। বর্তমানে সেই সমীক্ষার কাজ চলছে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘প্রচারে ভাল সাড়া পেয়েছিলাম। নবীন-প্রবীণ সমন্বয়ে জেলার তিন কেন্দ্রে জোরকদমে প্রচারও হয়েছিল। কিন্তু ভোট শতাংশের হিসাবে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। কেন মানুষমুখ ফিরিয়ে নিলেন, সেই হিসাব-নিকেশ এবং বোঝার পালাই চলছে আমাদের সাংগঠনিক স্তরে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘নিজেদের মধ্যে পর্যালোচনা করে জেলা থেকেআমরা রাজ্য কমিটিকে রিপোর্ট পাঠাব। কোথাও ভুলভ্রান্তি থেকে থাকলে শুধরে নিয়ে ফের মানুষের কাছে যাব।’’