অর্ণব আইচ: গঙ্গার পাড়ে ভূতনাথের মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিল একটি পরিবার। ঘাটে গাড়িটি দাঁড় করিয়ে গঙ্গাজল তুলতে গিয়েছিলেন তাঁরা। গাড়িতে বসে ছিল পরিবারেরই কিশোর সদস্য। আচমকাই বড় চারচাকার গাড়িটি গড়িয়ে গিয়ে পড়ল গঙ্গার মাঝে! বিপদ দেখেই ছুটে যান ঘাটে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ। তাঁর তৎপরতায় ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পায় কিশোর। তাকে দ্রুত মাঝনদী থেকে উদ্ধার করা হয়। রবিবার সকালে এমনই দুর্ঘটনার সাক্ষী রইল নিমতলা ঘাট (Nimtala Ghat)। যদিও বড় বিপদ হয়নি বলেই খবর।
জানা গিয়েছে, আষাঢ়ের প্রথম দিন ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন উত্তর কলকাতার (Kolkata) কয়েকজন বাসিন্দা। গঙ্গার (Ganges)ঘাটে গাড়িটি নিউট্রাল অবস্থায় দাঁড় করানো ছিল। আচমকাই বড় চারচাকার গাড়ি গড়িয়ে গিয়ে নদীতে পড়ে। সেসময় ঘাটে হাজির ছিলেন অনেকে। তাঁদের নজরে আসে গাড়ি তলিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি। শুরু হয় শোরগোল। এদিকে গাড়ির ভিতর থেকে এক কিশোরের চিৎকার শোনা যায়। উদ্ধারকাজে (Rescue) নামার তোড়জোড় শুরু হয়।
এই সময়ে নিমতলা ঘাটের কাছে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের (Traffic Police) নজরে আসে লোকজনের চিৎকার-চেঁচামেচি। তিনি এগিয়ে গিয়ে বিষয়টি দেখার পরই কিশোরকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। রিভার পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের (DMG) সাহায্য নিয়ে ডুবন্ত গাড়ি থেকে কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, গাড়ির জানলা কেটে তাকে বের করা হয়েছে। এর পর বিপর্যয় মোকাবিলা দল গাড়িটিকে জল থেকে তোলার ব্যবস্থা করে। গাড়িটি নিউট্রাল অবস্থায় দাঁড় করানো ছিল এবং গরমের কারণে তা নিজেই গড়িয়ে গিয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। তবে বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে, এতেই নিশ্চিন্ত ওই পরিবার।