• নাম মুছল বাবরি মসজিদের, সংশোধিত পাঠক্রম প্রসঙ্গে কী ব্যখ্যা এনসিইআরটি অধিকর্তার' ...
    আজকাল | ১৭ জুন ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য, নয়া দিল্লি: দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যবই থেকে বাবরি মজসিদ প্রসঙ্গ তুলে দিল এনসিইআরটি। বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার স্কুলের পাঠ্যবইয়ের বিষয়, অধ্যায় বদল করে শিরোনামে জায়গায় করে নিয়েছে এনসিইআরটি। লোকসভা ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পরেই বাবরি মসজিদ সম্পর্কিত বিষয় স্কুলের পাঠ্যবই থেকে তুলে দিয়েছে সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে খারাপ ফল করেছে বিজেপি। গুরুত্বপূর্ণভাবে, ভোটের আগে রাম মন্দির উদ্বোধন করলেও সেই ফৈজাবাদ অর্থাৎ যে লোকসভা মধ্যে অযোধ্যা রয়েছে, সেখানে পরাজিত হয়েছে বিজেপি।এনসিইআরটির দ্বাদশের পাঠ্যবইয়ে সরাসরি বাবরি মসজিদের নাম তুলে দিয়ে তিনটি গম্বুজযুক্ত নির্মাণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি বাবরি মসজিদ সম্পর্কিত বিষয়টি চার পাতা থেকে কমিয়ে ২ পাতার করেছে এনসিইআরটি। আরও কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছে দ্বাদশের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ে। এলকে আদবানির রাম রথযাত্রা, কর সেবকদের ভূমিকা, বাবরি মসজিদ ভাঙার সময়ে অশান্তি এবং রাষ্ট্রপতি শাসন জারির বিষয়গুলির বর্ণনা সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। আগের পাঠ্যবইয়ে, বাবরি মসজিদ ষোড়শ শতকে মীর বাকির তৈরি করা মসজিদ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে, ১৫২৮ সালে সেটি রামচন্দ্রের জন্মভূমিতে তৈরি করা হিন্দু মূর্তি এবং নকশা থাকা নির্মাণ। পুরনো বইয়ে ১৯৮৬সালে ফৈজাবাদ জেলা আদালত প্রার্থনার জন্য বাবরি মসজিদের গেল খুলে দেওয়ার নির্দেশ এবং তারপরে তৈরি হওয়া অশান্তির উল্লেখ ছিল। সেটি পরিবর্তন করে, তিন গম্বুজ বিশিষ্ট নির্মাণের গেট খোলা এবং তারফলে সাম্প্রদায়িক ও আইনি ঝঞ্ঝা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, কর সেবক এবং রাম রথযাত্রা এবং সেই সময়ে যে রাজনৈতিকভাবে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে দেওয়া হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে দিনভর সমালোচনার মধ্যে এনসিইআরটি অধিকর্তা দিনেশ প্রসাদ সকলানি বলেছেন, "আমাদের কি এমনভাবে শিক্ষাদান করা উচিত, যাতে পড়ুয়ারা ঘৃণা, অপরাধ শেখে অথবা তাঁরা এসবের শিকার হয়? এটা কি শিক্ষার উদ্দেশ্য? বাচ্চা ছেলেমেয়েদের কি এভাবে অশান্তি, হিংসা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া উচিত? বড় হলে তারা এমনই শিখে যাবে। তারজন্য স্কুল বইয়ে কেন?"
  • Link to this news (আজকাল)