শিলাজিৎ মজুমদারের সঙ্গে আড্ডা মানেই ‘আনকাট’। রাজনীতি থেকে বিনোদন দুনিয়া হয়ে ব্যক্তিগত জীবন— কোনও ক্ষেত্রেই কখনও রাখঢাক করেন না। এই মুহূর্তে গায়ক-অভিনেতা চর্চায় কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অযোগ্য’ ছবির দৌলতে। ছবিতে তিনি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রাভিনেতা। ছবিমুক্তির আগে ‘অযোগ্য’-য় তাঁর অভিনীত চরিত্র নিয়ে, বাকি অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ নিয়ে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে জানান, ছোট থেকে এতটাই দুষ্টু তিনি যে তাঁর মা আজও প্রায়ই রাগ করে বলেন, “ওই সময়েই গলায় নুন দিয়ে মেরে ফেললে ভাল হত!”
শিলাজিৎ কেবল এটুকু বলেই থামেননি। তাঁর কথায়, “আমার মা আগেও শয়তান বলত। এখনও শয়তান বলে।” এর পরেই প্রশ্ন ওঠে, ছেলে হিসেবে খুব খারাপ শিলাজিৎ। স্বামী এবং বাবা হিসেবে কেমন? জবাব দেওয়ার আগে হেসে ফেলেন তিনি। পাল্টা প্রশ্নও ছোড়েন, “আমায় দেখে বোঝা যায় না, আমি খুব ভাল দরের খারাপ স্বামী?” স্বগতোক্তির মতোই জানান, তিনি খারাপ বাবা, খারাপ ছেলেও।
কী প্রসঙ্গে আড্ডায় এই প্রশ্নের জন্ম?
শিলাজিৎ কৌশিকের ছবিতে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের স্বামী। ছবি বলছে, পর্দায় তাঁকে অত্যন্ত সংবেদশীল এক স্বামী হিসেবেই তুলে ধরেছেন পরিচালক। যিনি প্রতি মুহূর্তে স্ত্রীর পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। চাকরি হারিয়ে মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে ভুল করার পর মুহূর্তে নিজের ত্রুটি স্বীকার করেছেন। পর্দার এই ‘সংবেদনশীলতা’ বাস্তবে কতটা? জানতেই প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। তারই উত্তরে অকপট গায়ক-অভিনেতা।