সংসদ ভবন চত্ত্বর থেকে সরে গেল গান্ধী, আম্বেদকরের মূর্তি...
আজকাল | ১৭ জুন ২০২৪
বীরেন ভট্টাচার্য, নয়া দিল্লি: সংসদ ভবন চত্ত্বরে প্রেরণাস্থলের উদ্বোধন করলেন উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভা চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর। সংসদ ভবনের বিভিন্ন জায়গায় থাকা মনীষীদের মূর্তি সরিয়ে একটি জায়গায় এনে তৈরি করা হয়েছ প্রেরণাস্থল। সেখানেই এবার থেকে দেখতে পাওয়া যাবে মনীষীদের মূর্তি এবং সেখানেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা যাবে। আজ সন্ধ্যায় প্রেরণাস্থলের উদ্বোধন করেন উপরাষ্ট্রপতি। উপস্থিত ছিলেন গত লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও। সমস্ত সাংসদকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সরকারি বিবৃতিতে। যদিও প্রেরণাস্থলে মনীষীদের মূর্তি সরানোর সমালোচনা করেছে ইন্ডিয়া জোটভুক্ত দলগুলি।
বিরোধীদের দাবি, সংসদ ভবনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে মনীষীদের মূর্তি সরিয়ে সেগুলি পিছনের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই বিষয়ে সাংসদদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেছে বিরোধী শিবির। যদিও আজ প্রেরণাস্থলের উদ্বোধনের পর লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার ওমি বিড়লা বলেন, "কোনও মূর্তি সরানো হয়নি। সেগুলি অন্যত্র সরানো হয়েছে মাত্র। এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করার কোনও প্রয়োজন নেই।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংসদ ভবনের মূল ভবনের ঠিক সামনে ছিল বিআর আম্বেদকর এবং মাহাত্মা গান্ধীর মূর্তির। সেখানেই কোনও ইস্যুতে বিক্ষোভ প্রদর্শন, ধরনা করতেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা। যদিও সেই সব মূর্তি প্রেরণাস্থলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রেরণাস্থল নাম দিয়ে মনীষীদের মূর্তি সরানোর বিরোধিতা করে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, এর উদ্দেশ্য, যাতে বিআর আম্বেদকর এবং মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি ভাল জায়গায় না থাকে। তিনি বলেছেন, "লোকসভার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, মূর্তি এবং ছবি সংক্রান্ত যে সংসদীয় কমিটি রয়েছে তার শেষ বৈঠক হয়েছে ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর। গত ১৭তম লোকসভাতেও এই কমিটির পুনর্গঠন হয়নি। অবশ্য এই লোকসভায় কোনও ডেপুটি স্পিকারও নিয়োগ করা হয়নি। আজ আবার মূর্তিগুলি অন্যত্র সরানো হল। এই সিদ্ধান্ত শাসক দল একতরফাভাবে নিয়েছে। এর আসল উদ্দেশ্য হল, যাতে শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ধরনা, বিক্ষোভস্থলে বিআর আম্বেদকর এবং গান্ধীজীর মূর্তি না থাকে। মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি এই নিয়ে একবার নয়, দুবার সরানো হল।" তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ এবং লোকসভার উপদলনেতা ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, "সব মূর্তি পিছনে করে দেওয়া হয়েছে। কোনও মনীষীদের প্রতি এদের কোনও শ্রদ্ধা, ভক্তি নেই। সবকিছুকে এরা শেষ করে দিতে চায়।"