সিগন্যাল বিভ্রাটের জেরে এই দুর্ঘটনা , নাকি অন্য কোনও কারণ, তা এখনও কিছু জানা যায়নি । মালগাড়ির ধাক্কায় ট্রেনের পিছন দিকের দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে বলে খবর। বহু যাত্রী আহত হয়েছেন। চলছে উদ্ধারকাজ। শিলিগুড়িতে সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। তার মাঝে এই দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজও ব্যাহত হচ্ছে। যে লাইনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির সঙ্গে রেল যোগাযোগের প্রধান লাইন সেটাই। ফলে আপাতত দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠান হয়েছে। খোলা হয়েছে হেল্প ডেক্সও।
এদিকে দিনকয়েক ধরে উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া একেবারেই ভালো নয়। বর্ষা প্রবেশ করায় চলছে টানা বৃষ্টি। সোমবার সকালে শিলিগুড়িতে চলছে বৃষ্টি। তা সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়েই রওনা দেয় ট্রেনটি। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে বিপত্তি গটে। এদিন সকাল পৌনে নটা নাগাদ রাঙাপানি ও চাটারহাট স্টেশনের মাঝে নিজবাড়িতে একটি মালগাড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে। তাতেই বেসামাল হয়ে যায় দুরপাল্লার ট্রেনটি। পিছনের দুটি কামরা প্রায় দুমড়ে মুচড়ে যায়। যে এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেখান থেকে জনবসতি বেশ কিছুটা দূরে। তবে প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রাই উদ্ধারকাজে হাত লাগান। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত যাত্রীরা। ট্রেন থেকে হুড়মুড়িয়ে নেমে পড়েন অনেকে। বেশ কয়েকজন জখম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে যাত্রীদের উদ্ধারকাজ। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিগন্যালিং সিস্টেমের গাফিলতি নাকি দুর্ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
যে লাইনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, আপাতত সেখান দিয়ে বন্ধ ট্রেন চলাচল। এই দুর্ঘটনার ফলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেল যোগাযোগ সাময়িক ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। এদিকে, এই ঘটনায় X হ্যান্ডলে উদ্বেগ প্রকাশ করে পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, "এই মাত্র দার্জিলিঙের ফাঁসিদেওয়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেলাম। বিশদে এখনও জানতে পারিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ি ধাক্কা মেরেছে শুনেছি। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হচ্ছে।"