• পড়ার ঘাটতি মেটাতে বিশেষ ক্লাস রবিবারেও
    আনন্দবাজার | ১৭ জুন ২০২৪
  • তীব্র গরমের কারণে প্রায় পঞ্চাশ দিন ধরে রাজ্যের সরকারি ও সরকারপোষিত স্কুলগুলিতে পঠন-পাঠন বন্ধ ছিল। যার ফলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে পড়ুয়াদের একাংশ। তাই গ্রীষ্মের ছুটিতে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের সুবিধার কথা ভেবে রবিবার সকালে বিশেষ পঠন-পাঠন শুরু হল সিউড়ি ১ ব্লকের কড়িধ্যা যদুরায় মেমোরিয়াল হাইস্কুলে।

    প্রত্যেক সপ্তাহে আলাদা আলাদা শ্রেণির ইচ্ছুক পড়ুয়াদের নিয়ে এই ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম দিনেই নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের অঙ্ক, বাংলা ও ভূগোলের ক্লাস নেন স্কুলের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। এমন বিশেষ ক্লাসের মধ্য দিয়ে পিছিয়ে থাকা বিষয়গুলি ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ মেলায় খুশি পড়ুয়ারা৷ স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ত্রয়ী বাগদি বলল, “প্রচণ্ড গরমের জন্য অনেক দিন ক্লাস হয়নি। তাই বেশ কিছু বিষয়ের পড়া শেষ হয়নি। সেটা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জানাতেই তাঁরা রবিবারে এই বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করেন৷ বিশেষ ক্লাসে আমাদের ঘাটতিটা অনেকটাই পূরণ হচ্ছে।”

    গরমের কারণে প্রায় পঞ্চাশ দিন ধরে বন্ধ ছিল রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল। স্কুল খোলার পরেও প্রবল তাপপ্রবাহের কারণে স্বাভাবিক সময়ের পরিবর্তে সকালে পঠন-পাঠন চলছে স্কুলগুলিতে। ফলে সেখানেও সমস্ত ক্লাস পূর্ণ সময় করানো যাচ্ছে না। অথচ প্রায় সমস্ত শ্রেণির দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষা প্রায় চলেই এসেছে৷ এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়ারা যাতে সম্পূর্ণ পাঠ্যক্রমের পাঠ শেষ করতে পারে এবং তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করেছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

    স্কুল খোলার পরেই সমস্ত পড়ুয়াদের এই উদ্যোগের কথা জানিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আদৌ এই উদ্যোগে পড়ুয়ারা তথা অভিভাবকরা উৎসাহিত হবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে এ দিন পড়ুয়াদের উপস্থিতি ও উৎসাহ দেখে সেই সংশয় কেটেছে। এ দিন নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস হলেও আগামী সপ্তাহগুলির রবিবার ও অন্য ছুটির দিনগুলিতে অন্যান্য শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে এই বিশেষ ক্লাস চলবে বলেও জানা গিয়েছে।

    স্কুলের শিক্ষক তাপস ঘোষ জানান, দীর্ঘ গরমের ছুটিতে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় ঘাটতির কথা ভেবে কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলে সিদ্ধান্ত নেন যাতে ঘাটতি যতটা সম্ভব পূরণ করা যায় এবং ওদের দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষার জন্য তৈরি করা যায়। তাঁর কথায়, ‘‘সেই ভাবনা থেকেই ছুটির দিনে এই উদ্যোগ৷ পড়ুয়াদের ভাল আগ্রহ রয়েছে, তাই আশা করছি আগামীতেও এই উদ্যোগ চলবে।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)