দিনবাজারে মালিকের দোকান দখলের চেষ্টার অভিযোগ প্রাক্তন কর্মচারির বিরুদ্ধে। ওই কর্মচারির পরিবারের সদস্যাদের হাতে নিগৃহীতা হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দোকানের মালকিন। ঘটনার জেরে রবিবার উত্তেজনা ছড়াল ওই এলাকায়। দিনবাজার সেতু অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হলেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়েরা। এ দিকে, অভিযুক্তদের আড়াল করার অভিযোগ উঠল ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলার সরিতা শা-র স্বামী তথা ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার নীপু শা-র বিরুদ্ধে।
দিনবাজার সেতু থেকে নামতেই ডান হাতের এক দোকানে কয়েক দশক ধরে ব্যবসা করতেন অমল ভৌমিক। তাঁর মৃত্যুর পরে বর্তমানে স্ত্রী ডলি ভৌমিক, দুই মেয়ে ডালিয়া ও পাপিয়া ফলের ব্যবসা করেন ওই দোকানে। অভিযোগ, কর্মচারি রাহুল রায়কে সরিয়ে দিতেই ওই দোকানটি জবরদখলের চেষ্টা করেন তিনি, তাঁর দাদা কমলেশ ও ভাই বিবেক। পুরসভা ও পুলিশে একাধিক অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। সেক্ষেত্রে প্রাক্তন কাউন্সিলার নীপু শা অনৈতিক প্রভাব খাটিয়েছেন বলেও অভিযোগ। তাঁর নামে পুরসভায় অভিযোগও করেছিলেন ডলি। নীপু শা বলেন, ‘‘আমি কোনও পক্ষেই নেই। মীমাংসা করাতে চেয়েছিলাম। ভিত্তিহীন অভিযোগ।’’
এ দিন অভিযুক্ত রাহুলের বৌদি মঞ্জু, রানী মাহাতো-সহ জনাকয়েক মহিলা ওই দোকানে চড়াও হয়ে ডলিকে মারধোর করেন। মাথায়, বুকে ও কোমরে গুরুতর আঘাত নিয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডলি। এর পরেই দিনবাজার ও সংলগ্ন রায়কতপাড়া-সহ আশপাশের এলাকার মানুষজন এসে দিনবাজার সেতু অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপের আশ্বাস দেয়৷ এ দিন চানা পট্টিতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় গেটে বাইরে থেকে তালা দেওয়া। পাপিয়া বলেন, ‘‘ওরা একের পর এক উপদ্রব করেই চলেছে। পুরসভা ও পুলিশে জানিয়েও স্থায়ী সমাধান হয়নি। আজ ওঁরা মাকেও ছাড়ল না। প্রাক্তন কাউন্সিলারের ভূমিকাও ভাল নয়।’’ বিক্ষোভকারীদের তরফে দেবল দত্ত, নবজিৎ বিশ্বাস জানান, দিনবাজারে দীর্ঘ দিন ধরেই অরাজতা চলছে। প্রশাসন বিষয়গুলি দেখুক।
পুরসভার উপ পুর প্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মারধোরের বিষয়টি পুলিশ দেখছে। বর্তমান কাউন্সিলারের স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।’’