আসা-যাওয়ার রাস্তার জট কাটলেই খুলে যাবে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে কলকাতা হাই কোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ। রবিবার সার্কিট বেঞ্চের নির্মীয়মান স্থায়ী ভবনের পরিদর্শন সেরে এমনিই ইঙ্গিত দিলেন জলপাইগুড়ির জ়োনাল জজ তথা কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এ দিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বিচারবিভাগীয় আধিকারিকদের নিয়ে নির্মীয়মান ভবন পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসনের আধিকারিক এবং জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি বলেন, “পূর্ত দফতর ভাল কাজ করছে। জেলা প্রশাসন সবরকম সহযোগিতা করছে। আসা যাওয়ার রাস্তার সমস্যাটা মিটে গেলেই আমরা শুরু করে দিতে পারব।“
সার্কিট বেঞ্চের কাজ চলছে স্টেশন রোডের অস্থায়ী ভবনে। বর্তমানে জলপাইগুড়ি ছাড়া আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার মামলার শুনানি হয় এই বেঞ্চে। প্রথমে মাসে পনেরো দিন বেঞ্চে শুনানি চললেও বর্তমানে সারা মাস জুড়েই কাজ হয় অস্থায়ী ভবনে। উত্তরবঙ্গের বাকি তিন জেলার মামলাও জলপাইগুড়ি বেঞ্চে আসার কথা। যদিও জায়গার অভাব রয়েছে। স্থায়ী ভবনে কাজ শুরু হয়ে গেলে জায়গার কোনও সমস্যা থাকবে না। প্রায় সাড়ে চারশো কোটিরও বেশি বরাদ্দে তৈরি হওয়া নতুন ভবন চলতি জুন-জুলাই মাসে হস্তান্তর করে দেওয়ার কথা। পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, কাজ সঠিক গতিতেই এগোচ্ছে। সমস্যা তৈরি হয়েছে পূর্ব-পশ্চিম মহাসড়ক থেকে বেঞ্চের ভবনে যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে। জমি জটে সেই রাস্তা তৈরি আটকে রয়েছে বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর।
এ দিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি শুরু করতে পারব। অগস্টের একটি লক্ষ্যমাত্রা ছিল। জানি না, সেটা কতটা হবে। ঠিক কতদিনের মধ্যে শুরু করা যাবে এখন সেটা বলা সম্ভব নয়। বেশিরভাগ কাজটাই হয়ে গিয়েছে। পূর্ত দফতর ভাল কাজ করেছে, জেলা প্রশাসন সবরকম সহযোগিতা করেছে আমাদের। এ বছরের মধ্যে তো অবশ্যই কাজ শুরু হবে।”