• ইন্টারের দুই তারকার গোলে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন গতবারের চ্যাম্পিয়নদের...
    আজকাল | ১৭ জুন ২০২৪
  • ইতালি - ২ (বাস্তোনি, বারেল্লা)আলবেনিয়া - ১ (বাজরামি)আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। ২২ সেকেন্ডের মধ্যে এক গোলে পিছিয়ে পড়ে জোড়া গোল। রাজনীতি থেকে খেলা, শক্তিশালী ইতালিয় প্রভাবের অধীনেই থাকল আলবেনিয়া। মাত্র ১০ মিনিট এগিয়ে ছিল লাল জার্সিধারীরা। বাকি সময়টা ইতালির। শনিবার আলবেনিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো কাপে যাত্রা শুরু করল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। পাঁচ মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। তাতেই আরও ব্যাকফুটে চলে যায় আলবেনিয়া। তবে শেষদিকে যেভাবে চাপ সৃষ্টি করেছিল, সমতা ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে যে আধিপত্য নিয়ে গোটা ম্যাচে খেলল ইতালি, অনেক আগেই গোল সংখ্যা বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলা উচিত ছিল আজুরিদের। একাধিক গোল মিস চিন্তায় রাখবে কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তিকে‌। এখনও পর্যন্ত যে তিনটে ম্যাচ হয়েছে, তাতে ওপেন ফুটবল খেলতে দেখা গিয়েছে জার্মানি, স্পেন, ইতালিকে। বদলে গিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের ধারা। এখনও পর্যন্ত তিন ম্যাচেই প্রথমার্ধে সিংহভাগ গোল। অর্থাৎ, রক্ষণ আগলে সতর্কতার মোড়কে মোড়া ফুটবল নয়, প্রথম থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপাচ্ছে দলগুলো। যা আগে সাধারণত গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ থেকেই দেখা যেত না। তবে আগ্রাসী ফুটবল ইউরোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে। 'গ্রুপ অফ ডেথ'এ ক্রোয়েশিয়াকে স্পেন ৩-০ গোলে হারানোর পর আলবেনিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ জমিয়ে দিল ইতালি। ম্যাচের ২২ সেকেন্ডে গোল। ইউরো কাপের ইতিহাসে দ্রুততম। ভেঙে যায় রাশিয়ার দিমিত্রি কিরিচেঙ্কোর রেকর্ড। ২০০৪ ইউরোতে গ্রিসের বিরুদ্ধে ৬৫ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন তিনি। এদিন তাঁকে ছাপিয়ে যান আলবেনিয়ার নেদিম বাজরামি। ইতালির ডিফেন্ডারের ভুলে খেলা শুরু হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পিছিয়ে পরে আজুরিরা‌‌। ডিমার্কোর ভুল থ্রো বাজরামির পায়ে পড়ে। ক্ষিপ্রতার সঙ্গে বল দখলে নিয়ে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে থেকেই গোলে শট বাজরামির। ডর্টমুন্ডের স্টেডিয়ামে ক্ষণিকের স্তব্ধতা। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের শুরুর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই পিছিয়ে পড়ার প্রত্যাশা করেনি কেউই। এক মিনিটের মধ্যে সমতা ফেরাতে পারত ইতালি। কিন্তু স্কামাক্কার ব্যাকহিল থেকে বাইরে মারেন পেল্লিগ্রিনি। তবে পিছিয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই খেলা ধরে নেয় ইতালি। সমতা ফেরাতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ১১ মিনিটের মাথায় ১-১ করেন অ্যালেসান্দ্রো বাস্তোনি‌। শর্ট কর্নার থেকে ডি বক্সে বল ভাসান পেল্লিগ্রিনি। স্পট জাম্পে নিখুঁত হেড বাস্তোনি‌র। পাঁচ মিনিটের মধ্যে ২-১। ব্যবধান বাড়ান নিকোলো বারেল্লা। বক্সের ঠিক মাথা থেকে দূরপাল্লার হাফ ভলিতে গোল করেন। জোড়া গোলের পর ম্যাচের দখল পুরোপুরি ইতালিয়ানদের হাতে চলে আসে। একটা সময় তাঁদের পক্ষে বল পজেশন ছিল ৭০ শতাংশ। নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাস খেলে আক্রমণে উঠছিল ইতালি। দৃষ্টিনন্দন ফুটবল। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে তৃতীয় গোল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় আজুরিরা। গোল লক্ষ্য করে স্কামাক্কার শটে দারুণ সেভ আলবেনিয়ার গোলকিপার থমাস স্ট্রাকোসহার। বল পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। আলবেনিয়ার বক্সে ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল পেল্লিগ্রিনিকে। তাঁকে কেন্দ্র করেই ইতালির যাবতীয় আক্রমণ গড়ে উঠছিল। ৪০ মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারত। কিন্তু আবার বাঁধ সাধে আলবেনিয়ার কিপার। বিরতির পরও বিপক্ষের রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করে ইতালি। ম্যাচের রিং মাস্টার পেল্লিগ্রিনি। গোটা মাঠ জুড়ে খেলেন। যাবতীয় আক্রমণের মূলে ছিলেন তিনি। কিছু বিক্ষিপ্ত আক্রমণ বাদ দিলে একতরফা ম্যাচ। শুধু গোল সংখ্যা বাড়াতে পারেনি ইতালি। ম্যাচের শেষলগ্নে সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় আলবেনিয়া। রে মানাজের শট ইতালিয় গোলকিপারের বুকে লেগে বেরিয়ে যায়। একটুর জন্য সেই যাত্রায় বেঁচে যায় ইতালি। বড় মঞ্চে এই প্রথম মুখোমুখি ইতালি এবং আলবেনিয়া। আগে চারবার দুই দেশের সাক্ষাৎ হয়েছে। প্রত্যেকবারই জিতেছে ইতালি। সেই ধারাই অব্যাহত থাকল। ২০০৮ সালে লুই ফিলিপ স্কোলারির পর এই প্রথম ইউরোতে ব্রাজিলীয় কোচ। আলবেনিয়ার কোচ সিলভিনহো। কিন্তু ম্যাচ শেষে তাঁর সঙ্গী হতাশা। তবে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে লড়াকু ফুটবল তাঁদের মনোবল বাড়াবে। 
  • Link to this news (আজকাল)