উত্তরবঙ্গের দুর্ঘটনাস্থলে যেতে দেরি কেন, কেন্দ্রকে দুষে ব্যাখ্যা দিলেন মমতা
প্রতিদিন | ১৭ জুন ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর থেকেই সেখানে পৌঁছে যেতে তৎপরতা শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রওনা হতে হতে বিকেল হল। বিকেলে দমদম বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরাগামী বিমানে মুখ্যমন্ত্রী রওনা হলেন উত্তরবঙ্গের দিকে। আর বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এই দেরির জন্য আগাগোড়া দুষলেন কেন্দ্রকে, অসামরিক বিমান পরিষেবাকে। উত্তরবঙ্গ যাওয়ার এত কম বিমান কেন? তুললেন এই প্রশ্ন।
সোমবার সকাল পৌনে নটা নাগাদ ফাঁসিদেওয়ার কাছে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। এক্সপ্রেসের ২টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮। আহতের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়েছে। এই খবর শুনেই স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্ধারকাজে নামার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় । এর পর তিনি নিজেই দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শুরু হয় বিমান ও কপ্টারের খোঁজখবর। তবে এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কপ্টারের (Helicopter) ঝুঁকি নেননি প্রশাসনিক কর্তারা। বিকেলে বাগডোগরাগামী শেষ যাত্রীবাহী বিমানেই মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
আর এই যাত্রা নিয়ে বিমান পরিষেবাকেই দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী। দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছে তিনি বলেন, "বিমানের (Flight)যে এই অবস্থা, আমি তো জানতামই না। দুপুর ১২টা ৪০ এ উত্তরবঙ্গের বিমান। সেটা তো বুক হয়ে গিয়েছে পুরো। তার পর সেই বিকেলে বিমান। মাঝে আর একটাও বিমান নেই। এই কারণেই তো যেতে এত দেরি হচ্ছে। ইন্ডিগোর বিমানে বুক করা হল। প্রথমে বলছিল, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। কিন্তু তা নয়। এত কম বিমান উত্তরবঙ্গে যাওয়ার! অথচ এখানে এসেই বিমানগুলো জ্বালানি তেল ভরে। আর যাওয়ার বেলায় সব বাতিল করবে।"
বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, "আমি ফাঁসিদেওয়া যাব, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে যাব। আহতদের সঙ্গে দেখা করব। তার পর আমি কোচবিহারে যাব। সেখানে আগামিকাল আমার দুটো কাজ আছে। সেসব সেরে আবার আমি ওখানে ফিরব।" সূত্রের খবর, মঙ্গলবার তিনি যেতে পারেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে। এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস না থাকার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, "আমার সময়ে আমি অ্যান্টি কলিশন ডিভাইসের কথা বলেছিলাম। তা এখনও ট্রেনগুলোতে লাগানো হল না বলে এখনও এত দুর্ঘটনা। আমি তো সকাল থেকেই প্রশাসনকে উদ্ধারকাজে নামিয়ে দিয়েছি। দেখুন দুর্ঘটনা তো বলেকয়ে আসে না। তার উপর কারও হাত নেই। কিন্তু তার পর যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।"