দুর্ঘটনাস্থল হয়ে সোজা কোচবিহারে মমতা, ভোটে জয়ের পর প্রথম সফর, তৃণমূলে সাজো সাজো রব
আনন্দবাজার | ১৭ জুন ২০২৪
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিকেলেই ফাঁসিদেওয়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে তিনি সোজা চলে আসছেন কোচবিহার। সোমবার কোচবিহার সার্কিট হাউসেই রাত্রিযাপন করবেন মমতা। লোকসভা ভোটের ফলের পর তৃণমূলনেত্রীর প্রথম উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে সাজো সাজো রব কোচবিহার জেলা তৃণমূলের অন্দরে। মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য রয়েছেন নব নির্বাচিত সাংসদ জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া থেকে জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে। বস্তুত, লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে কেবল কোচবিহারে জয় পেয়েছে তৃণমূল। সেখানে নেত্রীর এই সফরকে আলাদা করে গুরুত্ব দিচ্ছেন কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন সেরে সড়কপথেই কোচবিহারে আসছেন মমতা। রাতে সার্কিট হাউসে থেকে মঙ্গলবার কোচবিহারের কুলদেবতা মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সফর আচমকা হলেও খুশির রেশ জেলা নেতৃত্বের মধ্যে। তুঙ্গে প্রশাসনিক এবং দলীয় নেতৃত্বের তৎপরতা। কোচবিহারে সার্কিট হাউস স্টেশন চৌপতি মোড়ে তৃণমূলের কর্মী এবং সমর্থকেরা ভিড় জমিয়েছেন। উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরেই ‘আক্রান্ত’ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির একটি দল। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রীর সফর ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘ডেপুটি’ বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে পরাজিত করেছেন তৃণমূলের জগদীশ। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কোচবিহারে কাঙ্ক্ষিত জয় পেয়েছি আমরা। সেই আনন্দ আরও একশো ভাগ বাড়িয়ে দেবে মুখ্যমন্ত্রীর আগমন। উনি কোচবিহারে আসছেন, কোচবিহারের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন, সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেবেন। এটা আমাদের কাছে বাড়তি আনন্দের।’’ একই কথা বলছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ। তাঁর কথায়, ‘‘লোকসভা ভোটের পর প্রথম বার উত্তরবঙ্গে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী, সেটাও কোচবিহারে। তাই খবর পেয়ে তিন ঘণ্টা ধরে নেতাকর্মীরা দলের পতাকা নিয়ে অপেক্ষা করছেন ওঁকে স্বাগত জানাতে। এত বড় ভয়ানক রেল দুর্ঘটনার জন্য উনি ছুটে এসেছেন। সেখানে দায়িত্ব সামলে রাত কাটানোর জন্য যে উনি কোচবিহারে আসছেন, সেটা আমাদের কাছে পাওনা।’’ তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী চাইলে বৈঠকও হতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘কাউকে ফোন করে ডাকতে হবে না। আমরা প্রস্তুত আছি। বললে এক মিনিটেই বৈঠক হবে।’’