বীরেন ভট্টাচার্য, নয়াদিল্লি: লোকসভায় এবার দ্বিতীয় বৃহত্তম হল হিসেবে উঠে এসেছে কংগ্রেস। সংখ্যার নিরিখে এবার লোকসভার বিরোধী দলনেতার তকমা পাবে শতাব্দী প্রাচীন দলটি। আসন্ন বিশেষ অধিবেশনের আগেই বিরোধী দলনেতার নামটি চূড়ান্ত করতে চায় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যে জয়ের কৃতিত্ব রাহুল গান্ধীকেই দিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। এবার লোকসভার বিরোধী দলনেতার ভূমিকায় রাহুলকেই চায় কংগ্রেস। যদিও তিনি এই পদে আগ্রহী নন বলে সূত্রের দাবি। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, তিন সাংসদ কুমারী সেলজা, গৌরব গগৈ এবং মণীশ তিওয়ারি, এই তিনজনের মধ্যে একজনকে বিরোধী দলনেতার পদে বসাতে চলেছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের পর এবার প্রায় এক দশক পর কোনও বিরোধী দলনেতা থাকবেন লোকসভায়। ২০১৪ সালে মাত্র ৪৪টি এবং ২০১৯ সালে সামান্য বেড়ে ৫২টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। যদিও এবার বহু রাজ্যে পদ্মের বাগান তছনছ করে দিয়ে হাত শক্ত হয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের দাবি, রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলনেতা করা হলে, তিনি নিজে ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারবেন এবং ইন্ডিয়া শিবিরের মুখ হিসেবে তাঁকে তুলে ধরতে সুবিধা হবে। যদিও রাহুল গান্ধী নিজে এই দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন বলে সূত্রের খবর। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধী। তারপর থেকে আর কোনও পদের দায়িত্ব গ্রহণ করেননি তিনি। এবারের লোকসভা ভোটে রায়বেরিলি এবং ওয়েনাড়, দুই জায়গা থেকেই জয়লাভ করেছেন রাহুল। তবে মায়ের কেন্দ্র রায়বেরিলি কেন্দ্রের সাংসদ হিসেবেই তিনি থাকতে চান। ওয়েনাড় থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে প্রার্থী করা হতে পারে। তবে প্রিয়াঙ্কা নিজে লোকসভায় আসতে আগ্রহী বলে কংগ্রেস সূত্রের দাবি। কারণ, প্রিয়াঙ্কার যুক্তি, গান্ধী পরিবারের তিন সদস্য সংসদে এলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপির পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তোলা আরও সহজ হয়ে যাবে। সেই সুযোগ দিতে নারাজ প্রিয়াঙ্কা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রায়বেরিলি এবং আমেঠি দুটি আসনই গান্ধী পরিবারের ঘাঁটি বলে পরিচিত। যদিও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আমেঠিতে রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে দেন স্মৃতি ইরানি। তবে এবার সেই আমেঠিতে স্মৃতি মলিন করে দিয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছেন কংগ্রেস প্রার্থী কিশোরীলাল শর্মা।