ফুটপাতে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে টোটো, মোটরবাইক, সাইকেল। কোথাও রাস্তা দখল করে চলছে ব্যবসা। সঙ্কীর্ণ রাস্তা আরও সরু হয়ে যানজট বাড়ছে বলে অভিযোগ তুললেন কালনা শহরের বাসিন্দারা। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
গত কয়েক বছরে শহরে টোটো, অটোর মতো ছোট যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, যানবাহন বাড়ায় এমনি যানজট তৈরি হয়। তার উপরে এই দখলদারি। জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে শহরে ঢোকার মুখের তোরণ থেকে খেয়াঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি পুরসভার তরফে চওড়া করানো হয়েছিল। কলেজ, স্টেডিয়াম চত্বরে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছিল। বেশ কিছু দোকানদারদের সতর্কও করা হয়েছিল। তবে পুরসভার নজরদারি হালকা হতেই ফের ফুটপাত দখল শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ।
শহরে তেঁতুলতলার তোরণ থেকে এগোলেই চোখে পড়বে দখলদারির চিত্র। নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড না থাকায় অনেক জায়গায় ফুটপাতে রাখা টোটো। এ ছাড়া সাইকেল, বাইক তো আছেই। অস্থায়ী দোকান করে ফুচকা, ডালপুরি, চপ, চা, লস্যির মতো ছোট ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে। শপিংমল ও বড় দোকানগুলির সামনে দাঁড়িয়ে নানা গাড়ি। শহরের বাসিন্দা কল্পনা কর্মকার বলেন, “ফুটপাত বলতে আর কিছুই এখন নেই। দখলদারির কারণে শহর ক্রমশ ঘিঞ্জি হচ্ছে। যানজট বাড়ছে।” আরও এক বাসিন্দা গোপাল পালের বক্তব্য, “বেআইনি দখলদারি এক বার শুরু হলে তা ক্রমশ বাড়তেই থাকে। এমন কাজ বন্ধ করতে গেলে লাগাতার প্রচার এবং কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন। ভোট কমার ভয়ে রাজনৈতিক দলগুলি দখলদারির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায় না।”
যদিও তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “বিধানসভার পর লোকসভা ভোটে শহরে আরও বেশি ব্যবধানে আমরা হেরেছি। মানুষ যে আমাদের প্রতি এ বীতশ্রদ্ধ তা বুঝিয়ে দিয়েছে। শহরকে দখল মুক্ত করে ঝকঝকে পরিবেশ তৈরি করতে পারলে বহু মানুষের মন পাব। একটাই সমস্যা কাজ করার উদ্যোগী লোকের এখানে বড় অভাব।” কালনা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তপন পোড়েল বলেন, “কোনও কোনও এলাকায় দখলদারি বাড়ছে। পুরসভা তা খতিয়ে দেখবে। প্রয়োজনে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।”