খেতে কাজ করার সময় একা পেয়ে এক বিজেপি কর্মীকে লাঠি ও বাঁশপেটার অভিযোগ উঠল স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান এবং তাঁর এক সঙ্গীর বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের সালোপুর ২ পঞ্চায়েতের ডোঙ্গলে। প্রহৃত শঙ্কর রায়কে গুরুতর আহত অবস্থায় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রহৃত প্রৌঢ়ের ছেলে লক্ষ্মীকান্ত আরামবাগ থানায় উপপ্রধান উত্তম বেরা এবং তাঁর সঙ্গী প্রসেনজিৎ আদকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তেরা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির পাশে খেতে বাদাম তোলার কাজ করছিলেন শঙ্কর। সেই সময়েই বেলা ১২টা নাগাদ তাঁর উপরে হামলা হয়। লক্ষ্মীকান্তের অভিযোগ, ‘‘লোকসভায় এই পঞ্চায়েতে প্রায় ১ হাজার ভোটে বিজেপি এগিয়ে থাকায় ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই উপপ্রধান হুমকি দিচ্ছিলেন। বাবাকে একা পেয়ে মারধর করা হল।’’ উপপ্রধানের দাবি, ‘‘গ্রামে ওদের পরিবারগুলির নিজেদের মধ্যে মারপিট হয়েছে। মিথ্যা আমাদের জড়ানো হয়েছে।’’
হাসাপাতালে আহতকে দেখতে যান বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ এবং আরামবাগের বিধায়ক মধুসূদন বাগ। বিমান বলেন, ‘‘ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে হাই কোর্টের কড়া অবস্থানের পরেও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকা সন্ত্রস্ত করছে। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করা হয়েছে।’’ পক্ষান্তরে, তৃণমূলের আরামবাগ ব্লক সভাপতি শম্ভুনাথ বেরা বলেন, ‘‘ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। শুনেছি পাড়াগত ঝগড়া থেকে ওই ঘটনা।’’