• গাফিলতি! রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেন আহত যাত্রী, কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু বুধে
    আনন্দবাজার | ১৮ জুন ২০২৪
  • কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এ বার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের (এনজেপি) রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ল। পুলিশ সূত্রে খবর, এক জন যাত্রী এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। সোমবার রাতেই জিআরপিএসের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে।

    সোমবার সকালে ফাঁসিদেওয়াতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। যার ফলে এক্সপ্রেসের পিছনের দিকে একাধিক কামরা লাইনচ্যুত হয়। একটি কামরা উঠে পড়ে মালগাড়ির উপর। এই সংঘর্ষে মালগাড়িও লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও অনেকে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।

    আহত যাত্রীদের মধ্যে এক জন রেল পুলিশের কাছে সোমবারের অভিযোগ দায়ের করেন। গাফিলতি, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে দুর্ঘটনার অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করবে পুলিশ।

    রেল পুলিশের পাশাপাশি রেলের তরফেও ঘটনার তদন্ত করা হবে। উত্তর-পূর্ব রেলের মুখ্য সুরক্ষা কমিশনার জনককুমার গর্গের তত্ত্বাবধানে এই তদন্ত হবে। বুধবার অর্থাৎ ১৯ জুন থেকে এই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে। সাধারণ মানুষের কাছে দুর্ঘটনা সম্পর্কিত কোনও তথ্য থাকলে তাঁরা তা তদন্ত কমিশনের কাছে জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছে উত্তর-পূর্ব রেল। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের এডিআরএম (অতিরিক্ত ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার)-এর অফিসে এই কমিশন বসবে। এ ছাড়াও সুরক্ষা কমিশনারকে সরাসরি চিঠি পাঠিয়েও এই দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা যেতে পারে বলেও জানিয়েছে রেল।

    সোমবারের দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। রেলকর্মীদের একাংশের মতে, মালগাড়ির চালকের দোষেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল! তবে সত্যিই কি তাই? রেলের সূত্রের দাবি, সোমবার ভোর থেকেই অকেজো ছিল রাঙাপানি এবং চটের কলের মাঝের স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল পরিষেবা। তাই আংশিক ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়। রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের ‘কাগুজে অনুমতি’র ভিত্তিতেই ট্রেন চলাচল করছিল। ওই সূত্রে দাবি করা হয়, কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং মালগাড়ি— দুই ট্রেনের চালকের কাছেই ছিল সেই অনুমতিপত্র। সেই অনুমতিপত্রের কারণে সিগন্যাল লাল থাকলেও চালক নিয়ন্ত্রিত গতিতে ট্রেন চালাতে পারছিলেন। সোমবারের ক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটেছিল, কোন ট্রেনের গতি কত ছিল, কী ভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে চলে এল মালগাড়ি— সেই সব প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজা হচ্ছে। যদিও রেলের তরফ থেকে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)